সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এবং রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ব্যারাকপুরে সিটুর সম্মেলনে। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ দিন পরে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের দুই শীর্ষ পদে এলেন দুই শ্রমিক নেতা! তবে সেই পরিবর্তনও খুব মসৃণ হল না। রাজ্যে সিটুর সংগঠন যখন বিপন্ন, সেই সময়ে মুখ বদলানো ঘিরে দলের অন্দরে বিরোধে অনেকই বিস্মিত। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার সিটুর সম্মেলন স্থলে যেতে হয়েছিল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে।
ব্যারাকপুরে সিটুর একাদশতম সম্মেলন থেকে এ দিন সংগঠনের নতুন রাজ্য সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি হয়েছেন যথাক্রমে অনাদি সাহু ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রী অনাদিবাবু ও উত্তর ২৪ পরগনা সিটুর জেলা সম্পাদক সুভাষবাবু দু’জনেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক নেতা। সিটুর বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি দীপক দাশগুপ্ত এবং শ্যামল চক্রবর্তী ছিলেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সিটুর মনোনীত নেতা। বিদায়ী দু’জনই যেখানে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, নতুনদের মধ্যে সুভাষবাবু সেখানে দলের রাজ্য কমিটির সদস্যও নন। শ্যামলবাবু ও দীপকবাবু নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন।
সিপিএম সূত্রের খবর, দীপকবাবুর জায়গায় অনাদিবাবুর নির্বাচন নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বিদায়ী রাজ্য সভাপতি শ্যামলবাবুর পছন্দ ছিল প্রশান্ত নন্দী চৌধুরী। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে গৌতম দেব, সুজন চক্রবর্তীরা সওয়াল করেছিলেন নেপালদেব ভট্টাচার্যের হয়ে। মতানৈক্য দেখে শ্যামলবাবুরা চেয়েছিলেন বংশগোপাল চৌধুরীকে।
তাতে আবার বেঁকে বসেন গৌতমবাবু। তখন আসে গৌতমবাবুর জেলার শ্রমিক নেতা সুভাষবাবুর নাম, যিনি আবার সিটুতে শ্যামলবাবুর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy