মিলেমিশে: সম্প্রীতি রক্ষার ডাক। মিছিলে বিকাশ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার ধর্মতলায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
পথে নামা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরম্পরা রক্ষা করার আহ্বান জানালেন অমর্ত্য সেন। রাজ্য জুড়ে ঘটে চলা একের পর এক অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার শহরে সম্প্রীতি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বিশিষ্ট জনেরা। ধর্মতলা থেকে মৌলালি পর্যন্ত বৃষ্টিভেজা বিকেলের ওই মিছিলে শারীরিক কারণেই হাঁটতে পারেননি অমর্ত্যবাবু, শঙ্খ ঘোষ বা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরা। কিন্তু তাঁরা সকলেই লিখিত বার্তা পাঠিয়ে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর বার্তায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘নানা কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলা তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্রটিকে যে সাত দশক ধরে অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছে, এটা আমাদের গর্বের ব্যাপার। আজ, দেশের ঘোর বিপর্যয়ের কালে বাংলার এই ইতিহাসকে কোনও ভাবেই কলঙ্কিত হতে না দেওয়ার গুরুদায়িত্ব আমাদের সকলকে কাঁধে তুলে নিতে হবে। এটা বাংলার স্বার্থে যেমন জরুরি, ভারতবর্ষের স্বার্থেও বটে’।
শঙ্খবাবু ডাক দিয়েছেন, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় এখন ছোট ছোট সভা করে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাসে বাতাবরণ কাটাতে হবে। শুধু শহরে মিছিলই যথেষ্ট নয়। তাঁর কথার সূত্র ধরেই প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য আহ্বান জানিয়েছেন, বিভিন্ন পেশার মানুষজন তাঁদের নিজের নিজের ক্ষেত্রে সম্প্রীতির পক্ষে প্রচারে নামুন। নাট্যকার ও অভিনেতা দুই চন্দন সেন, সব্যসাচী চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র, পল্লব কীর্তনিয়া, মন্দাক্রান্তা সেনেরা ছিলেন মিছিলে। তবে খোলা আহ্বান থাকা সত্ত্বেও ‘পরিবর্তনপন্থী’ বলে পরিচিত বিশিষ্টদের কাউকে এ দিন পথে দেখা যায়নি। আর বিদ্বজ্জনেদের এই উদ্যোগকে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘এ সব পুরনো রোগ! ওঁরা যেন গিয়ে দার্জিলিং আর বসিরহাটে মিছিল করেন!’’
আরও পড়ুন: পুড়ে ছাই কার্শিয়াঙের প্রাচীন হল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy