কাকভেজা: ভারী বৃষ্টির মধ্যেই রেললাইন পারাপার। বৃহস্পতিবার সকালে লেক গার্ডেন্স স্টেশনের কাছে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
বসন্তে স্বস্তি এনে দিয়েছে বৃষ্টি। কিন্তু এই সুখ নিতান্তই সাময়িক বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। তাঁরা বলছেন, বৃষ্টির মেঘ কেটে গেলেই রোদের দাপট শুরু হয়ে যাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে! অর্থাৎ দোলযাত্রার পরেই অস্বস্তিকর গরমের কবলে পড়তে হবে বঙ্গবাসীকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বসন্তের শেষ বা গ্রীষ্মের সূচনা পর্বে প্রকৃতির চরিত্র এটাই। মেঘ-বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মেলে বটে। কিন্তু তা আদতে ভবিষ্যতে গরম বাড়ার বার্তা আনে। কারণ, বৃষ্টিতে আকাশের মেঘ সাফ হয়ে যায়। তার পরে তীব্র রোদ কোথাও কোনও রকম বাধা না-পেয়ে সরাসরি এসে পড়ে মাটিতে।
অনেকে অবশ্য এই ক্ষণ-স্বস্তি নিয়েই খুশি। তাঁদের মতে, গরম তো সইতেই হবে। তার আগে এই বাদলা আবহাওয়া মন্দ কী! বুধবার মহানগরে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার হয়েছে ৩৮.৮ মিমি। হাওয়া অফিস বলছে, গত এক দশকে মার্চে সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছিল ২০০৯ সালের ১২ মার্চ (২৯.৫ মিমি)। বুধ ও বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘১৯৭৪ সালের ২৫ মার্চ কলকাতায় এক দিনে ৭০ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। সেটাই সর্বকালের রেকর্ড।’’
রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহবিদদের ব্যাখ্যা, এই বৃষ্টির মূলে আছে সমুদ্রের জোলো হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের হাওয়া গরম হয়ে উপরে উঠছে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করছে জোলো হাওয়া। ঠান্ডা ও গরম হাওয়ার মিশ্রণে মেঘ তৈরি হয়ে ঝরাচ্ছে বৃষ্টি। গণেশবাবু বলছেন, ‘‘মেঘের উচ্চতা বেশি হচ্ছে না। বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে হাওয়ার গতিবেগ কম থাকায় এক জায়গায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy