নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজ। —ফাইল চিত্র।
ঢাকায় গিয়ে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লার সঙ্গে হয়তো কথা বলা যাবে। তবে তাকে ভারতে আনা যাবে না বলেই মনে করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নাসিরুল্লা ওরফে সোহেলকে শনিবার চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মামলায় রবিবার তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর আদালত। পুলিশের দাবি, সোহেলই সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক জোগান দিয়েছিল। কুষ্ঠিয়ায় সাদিপুর কাবলিপাড়ার বাসিন্দা ছিল সে, বাবার নাম রেজাউল করিম। নাসিরুল্লা নামে সে খাগড়াগড় মামলার অভিযুক্ত। সোহেল নব্য জেএমবি-র ‘সুরা’ বা নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্য বলেও তাদের দাবি।
এনআইএ-র বক্তব্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও নাসিরুল্লার ক্ষেত্রে তার সুবিধা পাওয়া যাবে না। কারণ বাংলাদেশেই তার নামে প্রায় ২০টি মামলা ঝুলছে। সে সবের বিচার শেষ না হলে নাসিরুল্লাকে ভারতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে যে ‘এম ল্যাট’ বা পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি রয়েছে, তার বলে বাংলাদেশে গিয়ে নাসিরুল্লার সঙ্গে কথা বলতে পারবে এনআইএ। কলকাতার এনআইএ আদালত বিচারবিভাগীয় সহায়তা চেয়ে ঢাকা মহানগর আদালতকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধও জানাতে পারে।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, বাংলাদেশে গিয়ে নাসিরুল্লার সঙ্গে কথা বলার পর সেটা কলকাতার এনআইএ আদালতে জানাতে হবে। নাসিরুল্লার কাছ থেকে খাগড়াগড় মামলায় আর এক বাংলাদেশি অভিযুক্ত তালহা শেখ ওরফে শ্যামলের হদিস পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে এনআইএ।
ওই জঙ্গি চাঁইকে পেতে এনআইএ যে ১০ লক্ষ টাকা ইনাম ঘোষণা করেছিল, সেটাও হয়তো বাংলাদেশ পুলিশ পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় এক গোয়েন্দা অফিসারের ব্যাখ্যা, ‘‘বাংলাদেশ পুলিশ কিন্তু সে দেশের অভিযুক্ত হিসেবেই নাসিরুল্লাকে গ্রেফতার করেছে। এ ক্ষেত্রে ইনাম সাধারণত দেওয়া হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy