পড়ুয়াদের জল খাওয়ার কথা মনে করাতে ভাঙরের কচুয়া হাই স্কুলে ‘ওয়াটার বেল’ চালু হল। — নিজস্ব চিত্র।
ফিরে আসুক বাম আমলের বছরে ৮৫ দিনের ছুটি। তা হলে পরিকল্পিত ভাবে গরমের ছুটি পাবে স্কুলগুলো, দাবি শিক্ষকদের একাংশের। এখন বছরে ৬৫ দিন ছুটির মধ্যে গরমের ছুটি থাকছে মাত্র ১০ দিন। শিক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মতো গ্রীষ্মপ্রধান রাজ্যে যা বাস্তবসম্মত নয়। এখন গরম বাড়লে তবেই গরমের ছুটি বাড়িয়ে এক থেকে দেড় মাস করা হচ্ছে।
এ বার ৬৫ দিনের ছুটির তালিকায় গরমের ছুটি ছিল ৯ থেকে ২০ মে। এপ্রিলের শুরুতেই তীব্র গরমে ছুটি এগিয়ে আসে ৬ মে-তে। স্কুল খোলার কথা বলা হয় ২ জুন। বুধবার শিক্ষা দফতর জানায়, ছুটি পড়বে সোমবার, ২২ এপ্রিল থেকে। খুলবে ২ জুন। শিক্ষকদের প্রশ্ন, বারবার কেন এই বদল? এতে পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শিক্ষকেরা জানান, নয়ের দশক পর্যন্ত স্কুলের ছুটির ক্যালেন্ডারে বছরে ৮৫ দিন ছুটি থাকত। গরমের ছুটি থাকত প্রায় এক মাস। তা ফেরাতে শিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখেছে ‘অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গড়াইয়ের দাবি, “অপরিকল্পিত ভাবে গরমের ছুটি না বাড়িয়ে বছরের শুরুতেই আগের মতো ৮৫ দিনের ছুটি দেওয়া হোক।” শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকারের কথায়, “গত কয়েক বছর ধরেই এপ্রিলের গোড়ায় তীব্র গরম পড়ে যাচ্ছে। ছুটির ক্যালেন্ডারে প্রতি বছরই কেন তা হলে গরমের ছুটি মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করা হচ্ছে? এই আবহাওয়ায় ১০ দিনের গরমের ছুটি বাস্তবসম্মত নয়।”
এ দিন শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোটের ডিউটি বা নির্বাচন কমিশনের কোনও কাজ ছাড়া এই গরমের ছুটি পাবেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরাও। দার্জিলিং, কালিম্পং অবশ্য এই ছুটির আওতায় আসছে না। দীর্ঘ ছুটির জন্য স্কুল খোলার পরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy