একটি চিঠি, পেয়েছেন অনেকে। তাতেই নতুন আশায় বুক বাঁধছেন শালবনির জমিদাতারা।
সম্প্রতি জিন্দল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জমিদাতা পরিবারগুলিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে জিন্দলদের প্রস্তাবিত সিমেন্ট প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। জমিদাতা পরিবারের একজন সদস্যের কাজ পাওয়ার কথা সেই প্রকল্পে। সেই মতো আগেই নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল। যাঁদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের কাছেই চিঠি পৌঁছেছে। বলা হয়েছে, ওই পরিবারের অল্প বয়সী (৪০ বছরের কম) অন্য কারও নাম পাঠাতে। পরবর্তী সময়ে তাঁদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে দেওয়া হতে পারে।
শালবনিতে ৪,৩৩৪ একর জমি নিয়েছিল জিন্দল গোষ্ঠী। এরমধ্যে ২৯৪ একর জমি রায়তি। জমিদাতাদের থেকে সরাসরি কিনে নিয়েছিল জিন্দলরা। প্রায় ৪৮৫জন জমি দিয়েছিলেন এই প্রকল্পে।
ইতিমধ্যেই চিঠি পেয়েছেন স্থানীয় গোপাল চালক, বাদল চালক, বিভীষণ চালকরা। গোপালবাবুর বয়স এখন ৪৫। তিনি বলছিলেন, “আমি ছেলের নাম পাঠাচ্ছি। কারখানা চালু হবে। পরিবারের একজন কাজ পাবে।”
জিন্দলরাও চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন। শালবনি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অলোক ভট্টাচার্য বলেন, “জমিদাতাদের যাঁদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে, শুধু তাঁদেরই চিঠি পাঠানো হয়েছে।” জমিদাতা সংগঠনের সম্পাদক পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “মানুষ শিল্পের আশায় জমি দিয়েছিলেন। মনে হচ্ছে, এ বার সময়ের মধ্যেই কারখানা চালু হবে।”
বড় শিল্পের জন্যই জিন্দলদের পশ্চিম মেদিনীপুরে এনেছিল রাজ্য সরকার। ২০০৭ শালবনির জমি জিন্দলদের পছন্দ হয়। এরপর ২০০৮ এর ২ নভেম্বর প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়। গোড়ায় জিন্দল গোষ্ঠীর ঘোষণা ছিল, ২০১৩ সালের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।
পরে সিমেন্ট প্রকল্প নিয়ে এগোয় জিন্দলরা। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি শালবনিতে এসে প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন কাজ এগোচ্ছে। ২০১৭ সালে জিন্দলদের প্রস্তাবিত সিমেন্ট প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। দিন কয়েক আগে শালবনিতে এসেছিলেন সজ্জন জিন্দলের ছেলে পার্থ জিন্দল। এখানে এসে তিনি বৈঠকও করেন। কারখানা চালু হলে ঠিক কতজন কাজ পাবেন, তাঁদের মধ্যে জমিদাতা পরিবারের কতজন থাকবেন, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে এ বার দ্রুত গতিতে কাজ এগোতে থাকায় খুশি জমিদাতারা। জিন্দলদের ওই চিঠিও আশার আলো দেখাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy