স্বাধীন গণমাধ্যম কি কেবলই একটা কল্পনা? শনিবারের সন্ধ্যায় কলকাতার বেঙ্গল ক্লাবে এটাই ছিল বিতর্কের বিষয়। বিতর্ক, নাকি আলোচনা? সঞ্চালক কুণাল সরকার গোড়াতেই সতর্ক করলেন বক্তা এবং দর্শকদের। বিতর্ক নয়, কেবলই আলোচনা। কারণ প্রতিদিন টেলিভিশনে রাজনৈতিক বিতর্ক শুনতে শুনতে সকলে ক্লান্ত।
সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। ছিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক এবং রাজনীতিক সুগত বসু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়, একদা দূরদর্শনের ডিরেক্টর জেনারেল রতিকান্ত বসু। এসেছিলেন, প্রবীণ সম্পাদক সুনন্দ দত্ত রায়, সাংবাদিক সুনেত্রা চৌধুরী এবং ব্রিটিশ সাংবাদিক রেবেকা স্কিপেজ।
যে হেতু বিতর্ক সভা নয়, ফলে বক্তাদের দায় ছিল না বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সাজানোর। ভাল মন্দ মিশিয়ে নিজেদের ‘মন কি বাত’ বলেছেন তাঁরা। বাবুল যখন বলছেন ১২ বছর তিনি খবরের কাগজ পড়েন না, কারণ তাঁর মতে খবর ‘তৈরি’ করা হয়, প্রতিবাদ করে সাংবাদিক সুনেত্রার পাল্টা মন্তব্য, ‘‘রাজনীতিবিদেরা যখন বলেন মিডিয়া বিকৃত খবর দেখাচ্ছে, বুঝতে হবে, সংবাদমাধ্যম ঠিক খবর করেছে। রাজনীতিবিদের সেটা পছন্দ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন।’’
সুগতবাবু ঐতিহাসিক ভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কী ভাবে পরাধীন ভারতে গণমাধ্যমের উপর একের পর এক আক্রমণ এসেছে এবং তা অতিক্রম করে গণমাধ্যম স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। উঠেছে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ। সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করলেও কী ভাবে সংবাদমাধ্যম তার প্রতিবাদ করেছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন সুনন্দবাবুও। রতিকান্তবাবু শুনিয়েছেন, দূরদর্শনের সংবাদকে সরকারি ঘেরাটোপের বাইরে আনার কথা। রেবেকার মন্তব্য, সমাজ যখন ভয়াবহ ভাবে রাজনৈতিক হয়ে যায়, তখনই গণমাধ্যমের উপর আক্রমণ নেমে আসে সব চেয়ে বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy