মামলার পাহাড়, অথচ পর্যাপ্ত সংখ্যায় বিচারপতি নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ন’জন অতিরিক্ত বিচারপতির পদোন্নতি হয়েছে। যদিও হাইকোর্টে যত বিচারপতি থাকার কথা, এই ন’জনের পদোন্নতির পরেও সেই সংখ্যায় পৌঁছনোর আপাতত কোনও সম্ভাবনা বা সুযোগ নেই। থেকেই যাচ্ছে বিচারপতির ঘাটতি।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় সূত্রের খবর, বিচারপতি হিসেবে যাঁদের পদোন্নতি হয়েছে, তাঁরা হলেন আশিস চক্রবর্তী, মলয়মরুত বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ মুমতাজ খান, শঙ্কর আচার্য, মীর দারা সিকো, দেবীপ্রসাদ দে, আশা অরোরা, সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিবকান্ত প্রসাদ।
বিচারপতি হিসেবে এই ন’জনের নিয়োগপত্রে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি সই করেছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় মঙ্গলবার জানায়, এই ন’জন অতিরিক্ত বিচারপতি দেড় বছর আগে কয়েকটি পর্যায়ে নিযুক্ত হন। বিচারপতি হিসেবে তাঁদের এই পদোন্নতি নিয়মমাফিক। তাতে বরং কিছুটা দেরি হয়েছে। আইন মন্ত্রকের গড়িমসিও ওই বিচারপতিদের পদোন্নতিতে দেরি হওয়ার কারণ বলে জানান মন্ত্রকের এক অফিসার।
প্রধান বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত-সহ কলকাতা হাইকোর্টে এখন বিচারপতি আছেন ৩৮ জন। অথচ হাইকোর্টে বিচারপতির পদ ৫৮টি। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের নীতি হল, সব রাজ্যের হাইকোর্টে মোট বিচারপতি-পদ ছাড়াও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ পদে বিচারপতি নিয়োগ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। কিন্তু এই হাইকোর্টে এখনও পর্যন্ত বিচারপতির সংখ্যা ৪৫ পেরোয়নি। অথচ এই উচ্চ আদালতে গত ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জমে থাকা মামলার সংখ্যা দু’লক্ষ ১৬ হাজার ১৯০। প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দাবি, পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব এবং যথেষ্ট সংখ্যক বিচারপতি না-থাকায় প্রতি বছরই মামলা জমছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy