বিধ্বস্ত সেই জেটি। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির তেলেনিপাড়ার জেটি দুর্ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ঘাটের চার ইজারাদারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার জনের নাম সুকোমল চক্রবর্তী, দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুভাষ পাল। এঁরা প্রত্যেকেই জেটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার চার জনকেই চন্দননগর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশির পর এ দিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশির কাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০-১২টি দল দুর্ঘটনাস্থলের ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চিরুণী তল্লাশি শুরু করেছে। তেলেনিপাড়া থেকে উল্টো দিকের শ্যামনগর ঘাট পর্যন্ত চলছে তল্লাশি। এ দিন সকালে সাদিক মোস্তাফা নামের স্থানীয় এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
বুধবারের দুর্ঘটনার পরেই নবান্নয় জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া, হুগলি ও ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের যে ফেরি ঘাটগুলিতে এখনও পাকা সাঁকো তৈরি হয়নি সেগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় জোয়ারের ধাক্কায় একটি অস্থায়ী বাঁশের জেটি ভেঙে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছিলেন অন্তত ৪০ জন। রাত পর্যন্ত তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এখনও নিখোঁজ অন্তত ১২ জন। সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগেই একবার মেরামতি করা হয়েছিল জেটিটি। কিন্তু তারপরেও কেন সেটি ভেঙে পড়ল, সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। মেরামতিতে কোনও ফাঁক ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেরামতিতে যে সংস্থা বরাত পেয়েছিল, তাদেরও খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জোয়ারে ভাঙল জেটি, মৃত তিন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy