কেটে দেওয়া বেগুন খেত। নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।
এক বিজেপি নেতার খেতের বেগুন গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের পাইকপাড়ায়। জমির মালিক মহম্মদ ইয়াকুব মণ্ডল, এলাকায় বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার দুপুরে বনগাঁ থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও এই ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বনগাঁর এসডিপিও মীর সাহিদুল আলি বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দোষিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইয়াকুব বিজেপির বনগাঁ ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক। মঙ্গলবার দুপুরে মহরমের এক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু লোকের সঙ্গে বচসা বাধে ইয়াকুবের পরিবারের। তারা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর বড় ছেলে ও বৌমাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ইয়াকুবের পরিবার। সেই অভিযোগের বদলা নিতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিমত ইয়াকুব। তাঁর কথায়, “ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। যারা বেগুন গাছ কেটে দিয়েছে তারা তৃণমূলের লোক।”
শুক্রবার সকালে বেগুনখেতে গিয়ে দেখা গেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বেগুন গাছের গোড়া থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। এ দিক ও দিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেগুন।
এ দিন সে দিকে তাকিয়ে ইয়াকুব বলেন, “চৈত্র মাস পর্যন্ত গাছ থেকে বেগুন পাওয়া যেত। সবে ফলন ধরতে শুরু করেছিল। কিন্তু যা হল তাতে বহু টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।”
এলাকায় ইয়াকুবের নেতৃত্বে দলীয় সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। তাই রাজনৈতিক ভাবে তার ক্ষতি করা হল বলে অভিযোগ করেছেন বনগাঁ ব্লকের বিজেপি সভাপতি শঙ্কর নন্দী। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিজেপি বাড়ছে তাকে ঠেকাতে হবে। সেই কারণে তৃণমূলের লোকেরা খেতের ফসল নষ্ট করল।”
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্ দাস বলেন, “গোটা ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই এটা হয়েছে। এখন রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে ফায়দা তুলতে চাইছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy