মহিলাকে খুন করে অ্যাসিডে মুখ পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাদুড়িয়া
ঘরের মধ্যে আধ পোড়া অর্ধনগ্ন এক মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত দু’দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী অন্যত্র থাকায় কাটিয়াহাট মাঝেরপাড়ায় একটি ঘরে একাই থাকতেন ওই মহিলা। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বড় মেয়ে থাকে কাটিয়াহাটের কারিগরপাড়ায়। মাঝে মধ্যেই সেখানে খেতে যেতেন ওই মহিলা। গত বুধবার রাতে বড় মেয়ের বাড়িতে ইফতার সেরে বাড়ি ফেরেন। এরপর দু’দিন মাকে বাড়িতে যেতে না দেখে শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ বড় মেয়ে মাঝেরপাড়ায় আসে। অনেক ডাকাডাকি করার পরেও মায়ের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে জানলা দিয়ে ঘরে উঁকি মারতেই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে আসে। মেয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন মা। সারা মুখ কালো হয়ে গিয়েছে। গায়ে ফোসকা। তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ইটের গাঁথনির উপরে টালির চালের ছোট্ট ওই ঘরের সামনে এলাকার মানুষের ভিড়। মৃতার বড় মেয়ে বলেন, “বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে এক দল লোক মাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করত। বাড়িতে ঢিল ছুড়ত। মনে হয় তারাই মায়ের উপরে অত্যাচারের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। তারপর অ্যসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেয়।’’ পুলিশের অবশ্য জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মহিলাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, তা-ও রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নদীবাঁধে বড় ফাটল, আতঙ্কে গ্রাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিঙ্গলগঞ্জ
বাঁধের পাশে চর বসে যাওয়ায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি-মঠবাড়ি গ্রামে। বাঁধ এবং নদী-সংলগ্ন রাস্তায় বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয় একটি স্কুলের বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই দুলদুলি পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামবাসীদের নিয়ে একশো দিনের প্রকল্পে বাঁধে মাটি দেওয়ার কাজ শুরু হলেও টানা বৃষ্টিতে কাজ ব্যাহত হওয়ায় চিন্তিত বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রের খবর, সাহেবখালি নদীর পাশেই দুলদুলি-মঠবাড়ি দেবনারায়ণ হাইস্কুল। ওই স্কুলবাড়ির পাশে নদীবাঁধ ঘেঁসে হঠাৎই বড় চর বসে যাওয়ায় নদী বাঁধে ও রাস্তায় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, নদীতে চড়া পড়ায় এক সময় সেচ দফতর নদীতে বাঁশের খাঁচা ফেলেছিল। কিন্তু জলের তোড়ে তা ইতিমধ্যে ভেসে গিয়েছে। এখন নদীর জল কমলে বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে, এক দিকে যেমন গ্রাম নোনা জলে প্লাবিত হতে পারে, তেমনি স্কুলবাড়িরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে দিকে লক্ষ রেখে শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নদী বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। দুলদুলি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘নদী বাঁধের যা অবস্থা, যে কোনও মুহূর্তে তা ভেঙে গিয়ে গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে এ ব্যাপারে জানিয়েছি। কিন্তু দফতরের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। তাই পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গ্রামবাসীদের নিয়ে বাঁধে মাটি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’’
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের বিক্ষোভ পঞ্চায়েতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিঙ্গলগঞ্জ
একশো দিনের প্রকল্প-সহ নদী বাঁধ ও শৌচালয় তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএম পরিচালিত হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েতের প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ আসে। প্রধান অমল মণ্ডলের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বিক্ষোভকারীরা। তদন্তে সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধান। এরপরেই বিক্ষোভ প্রশমিত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ তৃণমূল নেতা দেবেশ মণ্ডলের নেতৃত্বে কয়েকশো দলীয় কর্মী-সমর্থক পোস্টার, ফেস্টুন হাতে মিছিল করে গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েতের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে এক দল তৃণমূল সর্মথক প্রধানকে ঘেরাও করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, উত্তর মালেকানঘুমটি গ্রামে কালিন্দী নদীর পাড়ে এবং আমতলি খাল পাড়ে বাঁশের পাইলিং এর নাম করে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। একশো দিনের কাজে উপ-প্রধানের নাম করে হাজার হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তৃণমূল নেতা দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘শুধু উপ-প্রধানের নাম করে হাজার হাজার টাকা তোলাই নয়, আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে আরও নানা বিষয় নিয়ে। তারই প্রতিবাদ জানাতে প্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে।’’ প্রধান অমল মণ্ডল অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আক্রান্ত তৃণমূল সমর্থক
রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তিন তৃণমূল সমর্থক। শুক্রবার রাতে সন্দেশখালির ধুচনেখালি বাজার থেকে খানিকটা দূরে কোড়াকাটি যাওয়ার রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে। বিশাল মণ্ডল এবং সমীরণ জোয়ারদার নামে দুই তৃণমূল সমর্থককে চপার, ভোজালি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁরা কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিশা এবং সমীরণকে খুনের চক্রান্ত করেছিল তাঁদেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে সিপিএম এবং পরবর্তী কালে বিজেপিতে ছিল বিশা এবং সমীরণ। পরে তারা তৃণমূলে যোগ দেয়। বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওদেরকে খুনের চেষ্টা করেছিল সিপিএম এবং বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।” তবে সিপিএম এবং বিজেপির দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত ৭টা নাগাদ মোটরবাইকে দুই সঙ্গীকে নিয়ে ধুচনেখালি বাজার থেকে কোড়াকাটি গ্রামে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় বিশা। বাজার থেকে কিছুটা এগোনোর পর কোড়াকাটি যাওয়ার রাস্তায় পাঁচ দুষ্কৃতীর একটি দল তাঁদের পথ আটকায়। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে এক জন কোনওরকমে পালিয়ে বাজারে এসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেয়। ইতিমধ্যে সমীরণ ও বিশাকে কুপিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy