ভাঙচুরের পর তৃণমূল নেতার বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ি এবং দোকানে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর উত্তর মোকামবড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙি গ্রামে। নাম জড়াল বিজেপির। যদিও পদ্মশিবির সেই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে। বুধবার সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক প্রধানের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি চলে। এর আগেও বেশ কয়েক বার তাঁদের উপর হামলা হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। অশোকের স্ত্রী আরতি প্রধান জানান, এর আগে তাঁদের পাশের বাড়িতে বোমা মারা হয়েছিল। তাঁর বাড়িতেও হামলা হয়। ওই মহিলার কথায়, ‘‘আমার স্বামী তৃণমূল করে। উনি কোনও দিন কারও ক্ষতি করেননি। তার পরেও বার বার হামলার মুখে পড়ছি।’’ তৃণমূল নেতার ছেলে কালীপদ প্রধান জানান, তাঁরা ঘটনার কথা জানানোর আধ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বাড়িতে আসে। তারা নিজেদের চোখে বাড়ির অবস্থা দেখে গিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল নেতার বাড়ি এবং দোকানে ভাঙচুর এবং বোমাবাজির বিষয়টিকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না তাঁর দল। বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘এর আগেও তিন-চার বার হামলার চেষ্টা হয় অশোক প্রধানের উপর। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি।’’
পাল্টা বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, ‘‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই। সমাজবিরোধীরা শাসকদলের ছত্রছায়ায় থেকে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনাও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিজেপি নেতার দাবি, আবাস নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতার বাড়িকে হামলার ঘটনা আসলে আবাস-দ্বন্দ্বেরই আভাস।
অন্য দিকে, হামলা এবং বোমাবাজির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় ক্যানিং এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy