হাসপাতালে সীমা। নিজস্ব চিত্র
কালীপুজো, দুর্গাপুজোর মতো বড় উৎসবের আগে চাঁদার জুলুমের সাক্ষী এ রাজ্যের নানা প্রান্ত। এ বার শীতলা পুজোতেও চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে জুলুমবাজির সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকা। চাঁদা-শিকারিরা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে ওই মহিলার।
মাস কয়েক আগে পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরে বাসা ভাড়া নেন বরুণ ব্যাপারী ও তাঁর স্ত্রী সীমা। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে মদ্যপ অবস্থায় সেখানে হাজির হয় সুমন পাল ও টোটোন দে নামে দুই যুবক। শীতলা পুজোর জন্য ৫০১ টাকা চায়। এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান ভ্যানচালক বরুণ। মারধর করা হয় তাঁকে। এগিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী সীমা। অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় মদ্যপ যুবকেরা।
বৃহস্পতিবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান সীমা। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। সুপার শঙ্করলাল ঘোষ জানান, আঘাতজনিত কারণে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে সীমাদেবীর। গর্ভপাত করানো হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: কেবলু, কানু, বল্লুর নিশ্চিন্ত ঠাঁই ‘ভালবাসা’
পুলিশ হাসপাতালে এসে স্বামী-স্ত্রীর বয়ান নিয়েছে। গ্রেফতার করা হয় পুজো কমিটির সম্পাদক ননীগোপাল সরকারকে। টোটোন ও সুমনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
এলাকাটি পুরপ্রধান প্রবোধ সরকারের ওয়ার্ড। স্থানীয় মানুষজন তাঁর কাছে সালিশির জন্য এসেছিলেন। আইন আইনের পথে চলবে, জানিয়ে দিয়েছেন পুরপ্রধান।
সীমা বলেন, ‘‘আমরা কত করে বললাম, এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের। শুনল না। স্বামীকে মারধর করল। আমাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy