নিজস্ব চিত্র
ইয়াস ও কোটালের প্রভাবে সুন্দরবন ও উপকূল এলাকার অধিকাংশ নদী ও সমুদ্রবাঁধ ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসকেই দায়ী করছেন সিংহভাগ গবেষক। সুন্দরবন বাঁচাতে যথেচ্ছ হারে ম্যানগ্রোভ লাগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের প্রতিবাদে ও স্থায়ী নদীবাঁধ নির্মাণের দাবিতে পাথরপ্রতিমার হেরম্বগোপালপুর ও কুঁয়েমুড়ি এলাকায় মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা ম্যানগ্রোভ’-এর সদস্যরা।
সুন্দরবনের অন্যান্য জায়গার মতোই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল হেরম্বগোপালপুরের হালদারপাড়া, পাঁজাপাড়া এবং কুঁয়েমুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও ঘরছাড়া বহু মানুষ। এই দুই এলাকাতেই বেআইনিভাবে মৃদঙ্গভাঙা নদীরবাঁধ লাগোয়া হাজার হাজার ম্যানগ্রোভ কেটে ভেড়ি বানানোর কাজ চলছিল। একবারে নদী তীরবর্তী সবুজে কোপ পড়ায় বাঁধগুলি দুর্বল হতে শুরু করে। এমনকি ভেড়িতে মাছ চাষের জন্য বাঁধকেটে নোনাজল ঢোকানো হত বলেও অভিযোগ।
সুন্দরবনের বাঁধ বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে ‘আমরা ম্যানগ্রোভ’ নামে সংগঠনটি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এলাকার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নদীবাঁধের উপর মানববন্ধন করে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখালেন সদস্যরা। মৃদঙ্গভাঙা নদীর পাড়ে লাগানো হয় বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভের চারা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক তথা শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত সুন্দরবনের শিক্ষক প্রসেনজিৎ প্রামাণিক বলেন, ‘‘বাঁধ ভাঙা রুখতে ম্যানগ্রোভ কাটা ঠেকাতে হবে৷ সুন্দরবনের মানুষের জন্য স্থায়ী সমাধান এবং পরিবেশ রক্ষার দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy