রাস্তাশ্রী প্রকল্পের অধীনে এই রাস্তা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি।
১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮০টি রাস্তা এক তৈরি হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পঞ্চায়েত এলাকায়। রাস্তাশ্রী প্রকল্পের অধীনে এই রাস্তা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
নারায়ণ বলেন, ‘‘সিপিএম ৩৪ বছরে পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা তৈরি করেনি। কেন্দ্রীয় সরকার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার রাজ্য জুড়ে রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ এর আগে এই কর্মযজ্ঞ দেখেননি। জেলার গ্রামীণ এলাকায় ১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮০টি রাস্তা এক সঙ্গে তৈরি হচ্ছে। সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটারের বেশি রাস্তা তৈরি হচ্ছে এক সঙ্গে।’’ রথীনের কথায়, ‘‘পথশ্রী প্রকল্পে জবকার্ড থাকা ব্যক্তিরা কাজ পাবেন। একশো দিনের কাজ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। ফলে গ্রামের অর্থনীতি ভেঙে গিয়েছে। রাস্তার কাজ করে তাঁরা আয় করতে পারবেন।’’ কাকলি বলেন, ‘‘নতুন ও ভাল রাস্তা দিয়েই মানুষ পঞ্চায়েতে ভোট দিতে যাবেন। তৃণমূলকে জেতাবেন।’’
প্রকল্প নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। সিপিএম ও বিজেপির বক্তব্য, ভোট আসছে বলেই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ভোটের খরচ তুলতে এই উদ্যোগ। কিছু দিন পরে দেখা যাবে এ নিয়েও দুর্নীতি সামনে আসবে।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমেদ আলি খান বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের এই নাটক মানুষ বুঝে গিয়েছেন। ভোট এলেই প্রকল্প করে। এ সব থেকে তৃণমূলের আয় হবে। রাস্তার তৈরির ইট-বালি-সিমেন্ট-পাথর তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে কিনতে হবে।’’ বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘‘দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল কোনও কাজ করে না। রাস্তা তৈরির মশলা থেকে কাটমানি নিয়ে ভোটে খরচ করবে। আগামী দিনে সিবিআই-ইডিকে রাস্তা-দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তাশ্রী পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন গিয়ে সিঙ্গুর থেকে জানিয়েছে, কাজে যেন স্বচ্ছতা বজায় থাকে। তৃণমূল নেতৃত্বেরও বক্তব্য, কাজ স্বচ্ছ ভাবেই হবে। কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy