—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি অনুদান পেয়েও যাঁরা বাড়ি তৈরি শুরু করেননি, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তা-ভাবনাও চলছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ২০১৬-২০২২ সাল পর্যন্ত ৭৫২৮ জন উপভোক্তা বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরি করেনি। এর মধ্যে ৬৪৫৮ জন উপভোক্তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ উপভোক্তা মারা গিয়েছেন। কেউ কেউ আবার নিখোঁজ। বাকি ১০৭২ জন উপভোক্তার বাড়ি তৈরির সামর্থ্য রয়েছে। উপভোক্তা নিজেও রয়েছেন, তবুও বাড়ি তৈরি করছেন না সরকারি টাকায়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার ২৯টি ব্লকে এমন উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার পরেও কেন বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেননি, তা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্লক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এফআইআর হতে পারে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, দু’বছর আগে টাকা পেয়েও বেশ কয়েক জন বাড়ি তৈরির কাজে হাতই দেননি। ২০১৬-’২২ সালের মধ্যে দুই কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন অথচ বাড়ি তৈরি করেননি, জেলায় এমন উপভোক্তার সংখ্যা ৭৫২৮ জন!
২০১২ সালে সমীক্ষার পরে ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট’ ধরেই বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। ২০১৭ সালে ফের সমীক্ষা হয়েছে। কারণ, সে সময়ে অভিযোগ হয়েছিল, অনেক ‘যোগ্য উপভোক্তা’ তালিকার বাইরে। এ বার তৈরি হয় আবাস প্লাস তালিকা। নতুন নিয়মে উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, একশো দিনের প্রকল্পের জব কার্ডের সংযুক্তি করা হয়েছে। নিয়ম হল, বাড়ির প্রথম পর্যায়ের কাজ হয়ে গেলে তার ছবি সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হয়। এরপরেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মেলে। আধিকারিকেরা জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। যা নির্দেশ আসবে, সেই মতো প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৯টি ব্লকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার উপভোক্তা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছেন। সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায় বলেন, ‘‘সম্প্রতি যাঁরা বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন, তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন, সে জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’ জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘‘যাঁরা আবাসের টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরি করেননি, তাঁদের থেকে প্রশাসন টাকা ফেরত নেবে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যে সমস্ত উপভোক্তা মারা গিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy