এমন অনেক রাস্তার নাম নেই পথশ্রীর তালিকায়। নিজস্ব চিত্র।
বহু রাস্তা ভাঙাচোরা। ‘দিদির দূতেরা’ তা নিয়ে স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন। তারপরেও পথশ্রী প্রকল্পে মাত্র দু’টি রাস্তা সংস্কার হচ্ছে কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামের এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ী বলেন, ‘‘ব্লক জুড়ে ১৭টি রাস্তা অর্থাৎ মোট ২৮ কিলোমিটার রাস্তা হচ্ছে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে। বাকি রাস্তা সংস্কারে চেষ্টা পরে করা হবে।’’স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য ক্ষোভ, গ্রামের প্রায় সব রাস্তাই বেহাল। গ্রামের মূল রাস্তা মোজাম মোড় থেকে নরেন দাসের ঘাট পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার ইটের রাস্তা বহু বছর ধরে ভাঙাচোরা। বহু জায়গায় ইট উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই রাস্তার পাশে হাইস্কুল, প্রাথমিক স্কুল আছে। অনেক মানুষের বসবাস। কিন্তু রাস্তার যা দশা, টোটোও চলতে পারে না। গ্রামের পাইকপাড়া, পাত্রপাড়া, পিঁপড়েখালি-সহ নানা এলাকার দশ-এগারোটি রাস্তাও ভাঙাচোরা।
গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, দুর্গাপুর গ্রামের কোনও রাস্তায় গাড়ি ঢুকতে পারে না। কোনও রকমে ভ্যান বা মোটরবাইক চলে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হবিবর শেখ বলেন, ‘‘গ্রামের রাস্তার জন্য বহু চেষ্টা করেও হল না। বহু বছর ধরে খারাপ। মানুষের খুব সমস্যা হচ্ছে।’’
বাসিন্দারা জানান, সব মিলিয়ে এই বিশপুর পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ১০-১৫ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার হওয়া দরকার। তার মধ্যে রয়েছে বায়লানি গ্রামের বাংলাদেশ পাড়ার প্রায় ২ কিলোমিটার ইটের রাস্তা। সেটিতে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না বহু বছর। বায়লানি খেয়াঘাটে যাওয়ার দুটি ইটের রাস্তার অবস্থাও সঙ্গীন। স্থানীয় দু’টি ইটভাটার তরফে রাস্তাটি কোনও রকমে ইটের টুকরো দিয়ে জোড়াতালি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তাতে আবার ধুলোয় নাজেহাল হতে হয় জল না ছিটালে।
কেষ্ট মণ্ডলের স্মৃতি থেকে নাথপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ইটের রাস্তাও চলাচলের যোগ্য নয় বলে অভিযোগ। ধরমবেড়িয়া গ্রামের পিচের রাস্তা থেকে নদী ধরমবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার ইটের রাস্তা এতটাই খারাপ, সাইকেল বা মোটরবাইক নিয়েও যাতায়াত করা যায় না বলে অভিযোগ।
এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বড় রাস্তাগুলি ছাড়াও কিছু অলিগলির ইটের রাস্তা খারাপ। যেমন, বিশপুর উত্তর মাঝেরপাড়ার রাস্তায় প্রায় এক কিলোমিটার ইটের রাস্তা কার্যত মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা বিশপুর ঘোলাপাড়ার বিভিন্ন অলিগলির।’’ উপপ্রধান সান্ত্বনা সর্দার বলেন, ‘‘পথশ্রী প্রকল্পে বিশপুর ঝাউতলা থেকে মাওলার মোড় পর্যন্ত এবং ধনিখালি চত্বরের একটি রাস্তার কাজ হচ্ছে। অন্য রাস্তাগুলি যাতে হয় তা দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy