দৃষ্টান্ত স্থাপন করল গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিয়ো থিয়েটার। —নিজস্ব চিত্র।
গ্রাম-মফস্সলের মাচা থেকে শহরের কনসার্ট সবই প্রায় বন্ধ। সুরের মূর্ছনাও এখন আর তেমন ভেসে আসে না শহরের রেকর্ডিং স্টুডিয়োগুলি থেকে। বন্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করোনা অতিমারির সাম্প্রতিক স্ফীতি এবং লাগাতার বিধিনিষেধের জেরে গত দেড় বছর ধরে বাংলা গানের জগৎ যখন কার্যত মুখ খুবড়ে পড়েছে, সেই সময় কোভিডবিধি মেনেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সফল অনুষ্ঠান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিয়ো থিয়েটার।
সরকারি বিধিনিষেধ মানতে গিয়ে বহু অনুষ্ঠানই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। দর্শক নেই। এই পরিস্থিতিতেও ব্যতিক্রমী দৃশ্যের দেখা মিলল গোবরডাঙায়। বিধিনিষেধ মানতে গিয়েই কিছু দর্শককে ফিরিয়ে দিতে হল উদ্যোক্তাদের। একে সদর্থক দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছেন শিল্পায়ন স্টুডিয়ো থিয়েটারের কর্ণধার আশিস চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, ‘‘কোভিড কবে আসবে, কবে যাবে, এখন আর সেটা বোধহয় কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে আমরা যদি আরও সচেতন হয়ে উঠি, তা হলেই বোধহয় আর ঘরে বসে থাকতে হয় না। আজ স্টুডিয়ো থিয়েটারে হলভর্তি মাস্ক পরা দর্শক দেখে আমার তাই মনে হল।’’
অতিমারির আবহে স্তব্ধ জনজীবনকে ছন্দে ফেরানো মোটেই সহজ কাজ নয়। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে করোনা-আতঙ্কে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোলেও, করোনা-উত্তর পৃথিবী ‘স্বাভাবিক’-এর সংজ্ঞা পালটে দিয়েছে। এমন সময় সঙ্গীতানুরাগের প্রতি আস্থা রেখেই পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়েই অনুষ্ঠান করেছে গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিয়ো থিয়েটার। আগামী দিনেও যদি এই ভাবেই অনুষ্ঠান করা যায়, তা হলে হয়তো মানুষ তা দেখতে আসবেন, শনিবারের অনুষ্ঠানের পর আশাবাদী আশিস।
রফিউদ্দিন নামে এক দর্শকও বললেন, ‘‘আজ এখানে দর্শক সমাগম দেখে আমি খুব উৎসাহ পাচ্ছি। চার দিকে সব কিছু যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন গোবরডাঙা স্টুডিয়ো থিয়েটার সাহস দেখাল। এখানে সবাই কোভিডবিধি মেনে চলছেন দেখে খুব ভাল লাগল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy