দেগঙ্গায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
বাগদা গণধর্ষণ-কাণ্ডের পরে এ বার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায়। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল ঝোপে। ওই নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়েরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নির্যাতিতা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাড়ি হাবড়া থানা এলাকায়। তার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি দোকানে খাবার কিনতে যায় মেয়ে। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিন দুষ্কৃতী নাবালিকার মুখ চেপে ধরে মোটর বাইকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর দেগঙ্গার একটি পেঁপে ক্ষেতের মধ্যে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষণ মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে তার খোঁজ শুরু করে পরিবার। অন্য দিকে, স্থানীয়েরা ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন। খবর পৌঁছয় পরিবারের কাছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় নাবালিকাকে। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ২৫ অগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, বাগদায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের জিতপুরে পাঁচ বছরের শিশুর সামনে তার মাকে গণধর্ষণ করেন দুই জওয়ান। বাংলাদেশের এক আত্মীয়ের অসুস্থতার কথা শুনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই বধূ সীমানা পারাপারের চেষ্টা করছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যরা বাংলাদেশে পালান। কিন্তু ওই বধূ বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে পারেননি। তখন বিএসএফ জওয়ানরা ওই বধূকে ধরে ফেলেন। এর পর শিশুর সামনে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy