খন্দপথ: এখান দিয়েই যাতায়াত। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
রাস্তা কেটেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। পাইপলাইন বসেছে শহর জুড়ে। এরপরে সেই রাস্তা সারিয়ে চলেও গিয়েছে সেই সংস্থা। কিন্তু বর্ষা আসার আগে বছরের গোড়ায় রাস্তা ফেটে চৌচির। বাসিন্দারা ছুটছেন পুর প্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি কিছুই। এক উন্নয়ন করতে গিয়ে আর এক বিপত্তি ডেকে আনায় শহরবাসী দুষছেন পুরসভাকে।
ভাটপাড়ার উপ পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার উদ্যোগী হওয়ার পরে পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল। যথা সময়ে শেষ হয়েছে। অনেকেই অনেক কথা বলছেন। মানছি পুরসভারই রাস্তা। কিন্তু তা সারানো এবং আগামী পনেরো বছর দেখভালের দায়িত্ব, যে সংস্থা পাইপ বসিয়েছে তাদের। আমরা তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’’
শ্যামনগর শহরের মধ্যে আরএনটিপি রোড, নাগ বাগান রোড, ভারতচন্দ্র রায় রোড, সেন্ট্রাল রোড, বাসুদেবপুর রোডের মতো অসংখ্য রাস্তা রয়েছে। এগুলি খুঁড়ে পানীয় জল ও নিকাশির জন্য পাইপ লাইন বসানোর কাজ করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। মাস ছ’য়েক আগে বেশিরভাগ কাজ শেষ হলেও বাসুদেবপুর রোডের মনসাতলা থেকে শালবাগান পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। মূল রাস্তাগুলিতে যদি বা কাজ শেষ করে গিয়েছে সংস্থাটি, কিন্তু বাইলেনগুলিতেও পাইপ বসানো হলেও পরে ঠিকমতো মেরামত হয়নি। আর যে রাস্তাগুলি মেরামত করা হয়েছিল, সেগুলির অবস্থাও ইতিমধ্যে শোচনীয়।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক তথা স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল ঘোষাল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের বহু পুরনো প্রকল্প এগুলি। ২০১১ সালেই কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল। তা তো হয়নি, উল্টে দেরি করে কাজ শেষ করার পরে এখন আবার সেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। বর্ষা এলে আমাদেরই যন্ত্রণা পোহাতে হবে।’’
শ্যামনগরে রাস্তা-ঘাটের এই দূরবস্থা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিল পুরসভা। রাজ্যের অন্যতম বড় ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড ৩৪ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে। শহরের মধ্যে অসংখ্য রাস্তা। এরমধ্যে শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন ঘোষপাড়া রোড বাদ দিলে বাকি রাস্তাগুলির হাল ফিরেছিল বছর কয়েক আগে। কিন্তু পাইপ লাইনের দৌলতে ফের পুরনো চেহারায় ফিরে গিয়েছে রাস্তাগুলি, এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দা অন্তরা ঘোষ, সুনন্দ সরকারদের।
বাসিন্দাদের প্রশ্ন একটাই, বর্ষার আগে শ্যামনগরের রাস্তার হাল ফিরবে তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy