রায়দিঘির বেহাল রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
শিলান্যাসের পর প্রায় দু’বছর কেটে গিয়েছে। এখনও রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হল না। রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতে লক্ষ্মীর মোড় থেকে জগদীশের খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তা তৈরি না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি বহু বছর আগে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইট পেতে তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। সারা রাস্তায় ইট উঠে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়। বছর দু’য়েক আগে রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় পাকা করার অনুমোদন মেলে। লক্ষ্মীর মোড় থেকে জগদীশের খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল এক কোটিরও বেশি টাকা। কিন্তু শুরু থেকেই নানা টালবাহানায় কাজ এগোয়নি। পরে জগদীশের খেয়াঘাট থেকে সামান্য কিছুটা রাস্তা ঢালাই করা হয়। বাকি কাজ অসমাপ্ত পড়ে থাকে।
ওই রাস্তা দিয়ে নন্দকুমারপুর, জয়কৃষ্ণপুর, কুমড়োপাড়া, পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুর, ঢোলাহাটের মিলন মোড় এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল, কলেজ, বিডিও অফিসে আসতেগেলে এই পথ ধরতে হয়। ঢোলাহাট ও পাথরপ্রতিমার অনেকে নদী পার হয়ে ডায়মন্ড হারবার বা পাথরপ্রতিমা যাতায়াত করেন এই পথে। দীর্ঘ দিন রাস্তা বেহাল পড়ে থাকায় ঘুরেপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। রোগীদের নিয়ে রায়দিঘি বা ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে যেতে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় আলো নেই। সন্ধ্যার পরে গাড়ি চলাচলে আরও সমস্যা হয়। অনেক সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামে ঢুকতে চায় না বলে অভিযোগ।
রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি অনুমোদন হওয়ার পরে বাস্তুকারেরা ঠিক করেছিলেন, কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা করলে অনেক দিন ভাল থাকবে। কিন্তু বাসিন্দারা পিচ রাস্তার দাবি তুলে কাজে বাধা দেন। পরে রাস্তার কাজের সরঞ্জামের দাম বাড়ায় ঠিকাদার কাজ করতে সমস্যা তৈরি করেন।
সমস্ত বিষয়টি বিভাগীয় দফতর জানে। তবে কাজ কিছুটা হয়েছে বলে শুনেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy