নানা অছিলায় কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করত প্রতিবেশী যুবক। মুখ বন্ধ রাখতে নানা ভাবে হুমকিও দিত তাকে। ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। বছর চারেক আগের এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ওই যুবককে মঙ্গলবার আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল বারুইপুর আদালত। পাশাপাশি, সরকারি তহবিল থেকে নাবালিকার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন বারুইপুর আদালতের (১ নম্বর এডিজে) বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনায়। বছর চোদ্দোর ওই মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে একাধিক বার ধর্ষণ করে ওই যুবক। সেই ছবি মোবাইলে তুলে রাখে সে। কাউকে কিছু বললে ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয়ও দেখায়। তবে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। নাবালিকার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে গ্রেফতার হয় যুবক। তার বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে বারুইপুর আদালত। সরকারি আইনজীবী মিনারা খাতুন বলেন, “আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও কথা বলা হয়েছে। এই রায় দৃষ্টান্তমূলক।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)