কেনা-বেচা: পুলিশের নজরদারি। দেগঙ্গায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
দেগঙ্গার কিসান মান্ডিতে পুলিশি পাহারায় শুরু হল ধান কেনাবেচার কাজ। যা দেখে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকদের প্রতিক্রিয়া, এ বার ফড়েদের হাত থেকে রেহাই মিলল। দেগঙ্গা ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক সঞ্জীব বিশ্বাস জানান, ‘‘সরকারি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে এবং ফড়েরা যাতে ধারেকাছে ঘেঁষতে না পারে, সে জন্যই এই নজরদারি।’’
কেন হঠাৎ পুলিশি প্রহরায় ধান কেনাবেচা?
কিছু দিন আগে রঘুনাথপুরে বসিরহাট ২ কিসান মান্ডিতে ধান বেচতে আসা এক ব্যক্তির কাছে মার খান মান্ডিতে কর্মরত এক সরকারি কর্মী। অভিযোগ, ওই কর্মীকে দফতরের বাইরে এনে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়। চল্লিশ জন চাষির হয়ে একাই ৫০০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে এসেছিল আকু নামে ওই ব্যক্তি। দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মী বেআইনি কাজ করতে চাননি বলেই তার উপরে চড়াও হয় আকু।
বর্ধমানের মঙ্গলকোটে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই ঘটনার সূত্রেই জানিয়েছিলেন, ফড়েরা গোলমাল পাকাচ্ছে, সরকারি কর্তাকে হুমকি দিয়ে এক সঙ্গে বেশি ধান কিনতে চাপ দিচ্ছে। ফড়েদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েনের কথা তখনই বলেছিলেন তিনি।
খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রের খবর, ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে ২০১৮-১৯ মরসুমে সহায়ক মূল্যে ধান বেচাকেনা চলছে রাজ্য জুড়ে। কুইন্টাল প্রতি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধার্য হয়েছে ১৭৫০ টাকা। শনিবার দেগঙ্গা ব্লকের দু’জায়গায় ধান কেনাবেচার কাজ চলছতে দেখা গেল। জনা পঁচিশ চাষি ৪৬৫ বস্তা ধান বিক্রি করেন। দেগঙ্গা থানা সংলগ্ন ‘কর্মতীর্থে’র সামনে ধান কিনতে দেখা যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও।
তাঁদেরই একজন রূপসনা খাতুন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে আমরা খুশি।’’ সহিদুল ইসলাম নামে এক চাষির কথায়, ‘‘৩০ বস্তা ধান বিক্রি করলাম। খোলা বাজারে বিক্রি করলে প্রতি বস্তায় ১৫০ টাকা করে কম পেতাম।’’ নূরনগর থেকে ধান বিক্রি করতে আসা জাকির হোসেন বলেন, ‘‘খোলা বাজারে ধানের দাম যেমন কম পেতাম, তেমনই ফড়েরা টাকা দিতেও দেরি করত। এখানে বাজারের চেয়ে বেশি দাম মিলছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা পেয়েও যাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy