চিকিৎসা করে মানুষকে সুস্থ করে তোলেন, আবার লাঙল-বলদ নিয়ে মাঠে নেমে চাষ করে ফসলও ফলান।
তিনি স্বরূপনগরের তরণীপুর গ্রামের আবেদ মণ্ডল। কৃষি দিবসের দিনে তাঁর হাতেই উঠল ‘কৃষিরত্ন’ পুরস্কার।
বুধবার স্বরূপনগর ব্লকের এসজিএসওয়াই হলে তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সহ-কৃষিকর্তা নাজিরউদ্দিন আহমেদ, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরকার, বিএলডিও অর্কপ্রভ রায়, প্রধান চম্পারানি মণ্ডল-সহ অনেকে।
স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের তরণীপুর গ্রামে বাড়ি হাতুড়ে চিিকৎসক আবেদ মণ্ডলের। রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার পেয়ে খুশি উচ্চ মাধ্যমিক পাস বছর আটান্নর আবেদবাবু।
তিনি জানান, ‘‘কেবল চাষবাস করলেই তো হবে না, পড়াশোনাও শিখতে হবে। তা হলে কোন সময়ে কীসের চাষ করলে কেমন বাজার পাওয়া যাবে, তা আগে থেকেই বোঝা সম্ভব হবে।’’
ধান, পাট, পটল এবং কলা চাষের পাশাপাশি আবেদ মণ্ডল সময় পেলে রোগীও দেখেন। রাতবিরেতে মানুষ ছোটেন তাঁর কাছে। প্রয়োজনে তিনি রোগীকে ওষুধ-ইঞ্জেকশনও দেন। ছোটখাটো রোগে কোন কোন ওষুধ জরুরি, তা শিখতে হয়েছে তাঁকে।
আবেদবাবু বলেন, ‘‘কৃষিকাজ করি আর সময় পেলে চিকিৎসাও। মানুষকে যেমন সারিয়ে তুলি, তেমন গাছকেও। ক্ষতিকর পোকা-মাকড় মেরে গাছের রোগ সারিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলি বলে গাছ আমাকে বরাবরই ভাল ফলন দেয়। ভাল এবং উন্নত মানের ফসল ফলানোর কার রাজ্য সরকারের পক্ষে দেওয়া ‘কৃষিরত্ন’ পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy