—প্রতীকী চিত্র।
নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বনহুগলিতে। বছর ত্রিশের ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে বনহুগলির কেন্দ্রটিতে ভর্তি ছিলেন। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই গাফিলতির অভিযোগ তুলে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালান মৃতের প্রতিবেশীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম তাপস বিশ্বাস। বাড়ি সোনারপুরের রাজপুরে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ওই কেন্দ্রে আনা হয়েছিল।
নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের দাবি, এ দিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে হঠাৎই পড়ে যান তাপস। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, নেশামুক্তির নামে অত্যাচার চালানো হয়েছিল ওই যুবকের উপরে। তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাপসের প্রতিবেশী তারক মণ্ডল বলেন, “মাস দুয়েক আগে তাপস অসুস্থ হয়ে পড়ে। দিন পনেরো আগে এখানে ভর্তি করানো হয়েছিল। এখান থেকে বলা হয়েছিল, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। আজ সকালে জানতে পারলাম, ও মারা গিয়েছে। জলজ্যান্ত একটা ছেলে হঠাৎ পড়ে গিয়ে মারা গেল, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমাদের ধারণা, ওকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় ওই কেন্দ্রে থাকা অন্য রোগীদের মধ্যে। কেন্দ্রের এক কর্মী জানান, সকালে দেহ আসতেই একদল লোক এসে ভাঙচুর শুরু করেন। অন্য রোগীদের মারধর-ঠেলাঠেলিও করা হয়েছে।
ওই কেন্দ্রের কর্ণধার অতীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ
জানিয়েছে, দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মারধরেই তাপসের মৃত্যু হয়েছে কি না, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই তা বোঝা যাবে। তবে, প্রাথমিক ভাবে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যদিও ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বলে জেনেছে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, মৃতের পরিবারের তরফে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy