Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Mystery Death

অন্তঃসত্ত্বা বধূর রহস্যমৃত্যু বারুইপুরে! শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ! দেহ উদ্ধারে বাধা

মৃতার বাবা রোশন শেখ বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।’’ তাঁর অভিযোগ, পণের জন্যই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রুকসানাকে খুন করেছে।

মৃতা রুকসানা বিবি।

মৃতা রুকসানা বিবি। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১০:৩০
Share: Save:

বধূকে খুন করে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার শঙ্করপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগরায়। রাতেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক, তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বহড়ু এলাকার বাসিন্দা রুকসানা বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সাহিলের। মাস আটেক আগে রুকসানার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। তার পরেই রুকসানা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সাহিলকে। রুকসানা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার বাসিন্দারা দেহ উদ্ধারের সময় পুলিশকে বাধা দেন। হয় বিক্ষোভ। পরে বেশি সংখ্যায় পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।

মৃত রুকসানার বাবা রোশন শেখ বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।’’ তাঁর অভিযোগ, পণের জন্যই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রুকসানাকে খুন করেছে। একই দাবি মৃতার দিদি জাসমিনা বিবিরও। রুকসানার দাদা খোকন শেখ বলেন, ‘‘আমার বোন মানসিক অত্যাচারের শিকার। টাকা এবং জিনিসপত্রের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওর উপর অত্যাচার করত। আমার আর এক বোনকেও সে কথা জানিয়েছিল। অশান্তির কারণে ও আমাদের বাড়িতে চলেও এসেছিল।’’

খোকনের দাবি, পরে সাহিল গাড়ি নিয়ে এসে বাপের বাড়ি থেকে রুকসানাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘরে নিয়ে গিয়ে চাবি-তালা দিয়ে মারতে মারতে ওকে (রুকসানা) মেরে দিয়েছে।’’ তিনি জানান, কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় রুকসানা যখন বাড়ির অমতে চলে গিয়ে সাহিলকে বিয়ে করেন, তখনই তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছিলেন, সাহিলের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় শঙ্করপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপক নস্কর বলেন, ‘‘গতকাল রাত ১১টার সময় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গিয়েছিলাম। মৃতার বাড়ির লোকজন এবং গ্রামবাসীরা এসেছিলেন। পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি, সঠিক তদন্ত করে দেখা হোক কেউ দোষী কি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE