পানিহাটিতে শাসকদলের পুরপ্রতিনিধিকে ফের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ বারও অন্য দেশের নম্বর থেকে ফোন এসেছিল বলে দাবি ওই পুরপ্রতিনিধির। শনিবার দুপুরে আসা ওই অচেনা নম্বরের ফোনে ‘অনেক কিছু হয়েছে। এ বার রেডি হয়ে যাও’ বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত সোমবার পানিহাটিতে নতুন পুরপ্রধান শপথ নেওয়ার দু’দিন আগে থেকে এই হুমকি-ফোন শুরু হয়েছে বলে দাবি। বার বার পুরপ্রতিনিধিকে হুমকি দেওয়ার নেপথ্যে শাসকদলেরই স্থানীয় কোনও বিরুদ্ধ গোষ্ঠী, না কি একেবারেই অন্য কেউ এ কাজ করছে— তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পানিহাটির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তথা রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র সম্রাট চক্রবর্তীর কাছে এ দিন দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ একটি ফোন আসে। সম্রাটের দাবি, প্রথম বার ফোন ধরলেও অপর প্রান্ত থেকে কেউ কথা না বলায় তিনি ফোন কেটে দেন। এর পরে ফের ফোন আসে। ওই পুরপ্রতিনিধি বলেন, ‘‘১৪ সংখ্যার একটি নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। সেটি দেখে বাংলাদেশের বলে মনে হচ্ছে। ফোনে প্রচ্ছন্ন ভাবে প্রাণের ঝুঁকির হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’ ঘটনার পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সম্রাট।
অভিযোগ, গত শনিবার সন্ধ্যায় সম্রাটকে বিদেশি একটি নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং সমাজমাধ্যমের একটি নির্দিষ্ট পেজ দেখতে বলা হয়েছিল। সেখানেও প্রচ্ছন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ। এ দিন সম্রাট বলেন, ‘‘আগের দিনের ফোনে আরও দু’জনকে হুমকির কথা আমাকে শোনানো হয়েছিল। এ দিন অবশ্য তা হয়নি।’’ অন্য দিকে, এ দিন দুপুরে ওই একই নম্বর থেকে পানিহাটির চেয়ারম্যান পারিষদ তাপস দে-কেও ফোন করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও তিনি ফোনটি ধরতে পারেননি। গত রবিবারও হুমকি-ফোন পেয়েছিলেন বলে তাপসের দাবি।
ব্যারাকপুরের নগরপাল অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘স্থানীয় থানাগুলিকে এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট এবং আগের হুমকি-ফোনের তদন্তে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। বিষয়টিতে যে-ই জড়িত থাক, ছাড় পাবে না।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)