অপেক্ষা: এখনও চালু হল না মা ক্যান্টিন। হাবড়ায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি
৫ টাকায় ডিম-ভাত খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্য সরকার চালু করেছিল ‘মা ক্যান্টিন’। গতবার লকডাউনের সময়ে সরকারি এই উদ্যোগে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছিলেন। দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় এ ধরনের ক্যান্টিন করার কথা বলা হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ বিধানসভা এলাকায় মা ক্যান্টিন এখনও চালু হল না। কেবলমাত্র বারুইপুরে দু’টি ক্যান্টিন চালু হয়েছে। প্রতিদিন ওই সমস্ত ক্যান্টিন থেকে ১০০ জনকে ৫ টাকায় ডিম-ভাত দেওয়ার কথা। প্রথমে আসার ভিত্তিতে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সরকারি নির্দেশে এই ধরনের দু’টি ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ পেলে এ ধরনের আরও ক্যান্টিন জেলায় চালু করা হতে পারে।’’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই রবিবার থেকে নানা কড়াকড়ির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ কল-কারখানা, গণপরিবহণ। কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন বহু মানুষ। যাঁরা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন, তাঁরাও দুশ্চিন্তায়। বিরোধীদের বক্তব্য, এই সময়ে মা ক্যান্টিনের আরও শাখা চালু করলে বহু গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, তিনি যেন তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো জেলা। এই ধরনের আরও ক্যান্টিন চালু করেন।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীপ দাস আবার এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সবটাই রাজনৈতিক চমক। নির্বাচনের আগে এ ধরনের অনেক প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। এর কোনও বাস্তবতা নেই।’’ জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় এখনও পর্যন্ত দু’টি ক্যান্টিন চালু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের আরও ক্যান্টিন চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।’’ বিধানসভা ভোটের আগে ঘটা করে হাবড়ায় উদ্বোধন করা হয়েছিল মা ক্যান্টিনের। তৎকালীন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এসে উদ্বোধন করেছিলেন। ক্যান্টিন চালু হওয়ার কথা ছিল হাবড়া ১ বিডিও অফিস চত্বরে। সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। কথা ছিল, স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত ওই ক্যান্টিনে কম টাকায় মানুষ খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। অনেক গরিব মানুষ ভেবেছিলেন, খাওয়ার সমস্যা এ বার দূর হল। ক্যান্টিনটির উদ্বোধন হয়েছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। রবিবার পর্যন্ত অবশ্য সেটি চালুই হয়নি। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কেন চালু করা যায়নি ক্যান্টিন? হাবড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, ‘‘ক্যান্টিনটি চালু করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী নিয়োগ-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো প্রায় শেষ করে ফেলেছিলাম। তারপরেই নির্বাচন আচরণবিধি চালু হয়ে গেল। এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ থমকে আছে।’’ তবে শীঘ্রই ক্যান্টিন চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy