ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালেও মিলছে না প্রতিষেধক। নিজস্ব চিত্র
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, ভাঙড়ের হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক এআরভি-র জোগানে টান পড়েছে। কোথাও কোথাও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, অনেক রোগীই একটি বা দু’টি ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর বাকি প্রতিষেধক পাচ্ছেন না।
ক্যানিং হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, প্রথম প্রতিষেধক নেওয়ার ৩ দিন পর দ্বিতীয় প্রতিষেধক নিতে হয়। তারপর যথাক্রমে ৭, ১৪, ২৮ দিন পর পরবর্তী প্রতিষেধকগুলি নেওয়ার নিয়ম। মাঝপথে নিয়ম ভাঙলে আবার প্রথম থেকে প্রতিষেধক নিতে হবে। রোগীদের দাবি, হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় সেই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ, রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে বলা হচ্ছে ।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ঘোরাঘুরির পর একটি বা দু’টি ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও তারপর আর প্রতিষেধক মিলছে না। বলা হচ্ছে বাইরে প্রতিষেধক কিনে নিতে। আবার নতুন করে প্রতিষেধক নেওয়া শুরু করার ভয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে তাই করছেন। ভাঙড়ের কালিকাপুরের বাসিন্দা মাধবী মণ্ডল বলেন, ‘‘কয়েরকদিন আগে আমার ছোট বোনকে কুকুরে কামড়ায়। প্রথমে হাসপাতাল থেকে বলা হয় প্রতিষেধকের সরবরাহ নেই। কয়েকদিন ঘোরাঘুরির পর নলমুড়ি ব্লক হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বলা হয় বাইরে থেকে কিনে নিতে। ছোট বোনকে নিয়ে হয়রান হতে হয়েছে।’’
ভ্যকসিনের জোগান যে কম, তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রয়োজনের তুলনায় এআরভি সরবরাহ অনেকটা কম। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, এ কথা ঠিক। বেশ কিছুদিন ধরেই ভ্যাকসিনের সরবরাহ কম। যখন যেমন সরবরাহ হচ্ছে, তেমন বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy