গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ চালানোয় অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল কল্যাণী জেএনএমেও। ঘটনাচক্রে, আর জি করে নিহত ছাত্রী নদিয়ার এই মেডিক্যাল কলেজ থেকেই এমবিবিএস পাশ করেন। বৃহস্পতিবার সেখানে ৪০ জন ছাত্রকে ছ’মাসের জন্য ‘বহিষ্কার’ করা হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ দুই কর্তাও ‘শাস্তি’র মুখে পড়েছেন।
‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বিরুদ্ধে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ লালন-পালনের অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডিন ও সহকারী ডিন পদত্যাগ করেছেন। পাঁচ পড়ুয়া ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে যে চিকিৎসকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁদের অন্যতম, উত্তরবঙ্গ লবির ‘ফাদার’ বলে পরিচিত সেই অভীক দে-র অনুগামীরাই কল্যাণী জেএনএমে ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ চালাতেন বলে অভিযোগ। স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র শেখ মহম্মদ অখিল, ইন্টার্ন আলিম বিশ্বাস, চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তথা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির বর্তমান সভাপতি বিচিত্রকান্তি বালা এবং ওই বর্ষেরই আব্দুল হালিম দফাদার এঁদের অন্যতম। এই চার জন-সহ ৪০ জন পড়ুয়াকে আপাতত বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ছ’মাস তাঁরা পরীক্ষা ও তদন্ত সংক্রান্ত বিষয় বাদে অন্য কোনও কারণে কলেজ, ছাত্রাবাস ও হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না বলে।
জেএনএমের পড়ুয়াদের অনেকেরই অভিযোগ, সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন হস্টেল সুপার অয়ন ঘোষ এই সিন্ডিকেট এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এঁরা দু’জন আর কখনও জেএনএমে কোনও প্রশাসনিক পদ বা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও দায়িত্ব নিতে পারবেন না, জানিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। এ দিন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়ারা।
জেএনএম সিন্ডিকেটের অন্যতম মাথা শেখ অখিলের দাবি, “কখনও থ্রেট সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।” প্রাক্তন অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমার সময়ে থ্রেট সিন্ডিকেট চলত না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy