ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই) এবং ‘ওয়াইল্ড টিম বাংলাদেশ’। —নিজস্ব চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ। বাংলা সিনেমা নির্মাণে নয়, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ এবং তার জীববৈচিত্র রক্ষায়। ‘সৌজন্যে’ ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই) এবং ‘ওয়াইল্ড টিম বাংলাদেশ’। রাষ্ট্রপুঞ্জ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন-এর সহযোগিতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় মংলা অঞ্চলের চিলায় সুন্দরবন অঞ্চলে এই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি চার দিনের একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ওই কর্মশালায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের মধ্য-পূর্ব গুড়গুড়িয়া আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১২ জন নির্বাচিত পড়ুয়ারা ‘টাইগার স্কাউট’ হিসাবে এই কর্মশালায় যোগদান করে। এ ছাড়া গ্রামে বাঘের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৈরি ‘প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দল’ (প্রাইমারি রেসপন্স টিম)-এর সদস্য এবং বাঘবন্ধুরাও ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
ডব্লিউটিআই আধিকারিক সম্রাট পাল জানিয়েছেন, সুন্দরবনের প্রায় ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে এবং ৪০ শতাংশ ভারতে। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল, দু’দেশের সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ সম্পর্কে মত আদানপ্রদান করা এবং ভবিষ্যতে কোন পদ্ধতিতে যৌথ ভাবে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করা যায় তার দিশানির্দেশ তৈরি করা।
এ প্রসঙ্গে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অভিষেক ঘোষাল, (বিভাগীয় প্রধান, মানুষ-বন্যপ্রাণ সংঘাত নিরাময় বিভাগ, ডব্লিউটিআই) বলেন ‘‘এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে দুই বাংলার সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণের যে প্রকল্প চলছে, তার সঙ্গে যুক্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এমন কর্মশালার মাধ্যমে দুই বাংলার সুন্দরবনে বাঘ ও সাধারণ মানুষের সহাবস্থান সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’
এই কর্মশালায় ওয়াইল্ড টিমের পক্ষে থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন ‘‘যে কোনও দেশের ভবিষ্যত দেশের শিশু সম্পদ। স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি টাইগার স্কাউটদের দল আজ বাঘ সংরক্ষণের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে ও স্বেচ্ছায় নিজেদের বাঘ সংরক্ষণে সমর্পিত করেছে তা সুন্দরবন ও তার বন্যপ্রাণীর ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করবে।’’
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ডটিম বাংলাদেশের মহম্মদ আবু জাফর, ডব্লিটিআই-এর প্রসেনজিৎ শীল, কুলতলি ব্লকের মধ্য-পূর্ব গুড়গুড়িয়া আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক সুব্রত মিস্ত্রি, লোকমাতা রানি রাসমণি মিশনের শান্ত্রা কর্মকার ও সৌমিক সরকার। ছিলেন, বাংলাদেশ বন বিভাগের বনাধিকারিক (পূর্ব সুন্দরবন) মহম্মদ নুরুল করিমও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy