বাড়ি ফেরার পথে মারধরের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
‘কাটমানি’ না পেয়ে একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল অঞ্চল যুব সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। প্রাণভয়ে আর স্কুলেই যেতে চান না বলে জানালেন ওই প্রধান শিক্ষক। তাঁর উপর হামলার বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাগদা থানার পাটকেলপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সুকুমার সর্দারের অভিযোগ, ‘কাটমানি’ না পেয়ে তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন বাগদা অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলের সহযোগীরা। এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর বিচার চেয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক, বিডিও এবং থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ আশরাফুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি যদিও এই মুহূর্তে পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুকুমারের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানা।
ওই প্রধানশিক্ষকের দাবি, পাটকেলপোতা প্রাথমিক স্কুলে বাগদা ব্লক আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১ লক্ষ টাকার ভবন তৈরি হচ্ছে। সুকুমারের কথায়, ‘‘সোমবার বিকেলে স্কুল থেকে থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় আশরাফুল-সহ বেশ কয়েক জন আমাকে ঘিরে ধরে এবং কটূক্তি করেন। আমার কাছে স্কুলবাড়ি তৈরির কাটমানি চাওয়া হয়।’’ কিন্তু তিনি ওই ‘প্রস্তাব’ না মানায়, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ পরে স্কুলের সহকারি শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা সুকুমারকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। এখন একটু সুস্থ। কিন্তু প্রাণভয়ে আর স্কুলমুখো হতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, শিক্ষককে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের যুব নেতা গিয়াসুদ্দিন। তাঁর দাবি, স্কুলের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছিল বলে তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেখানে ‘কাটমানি’ও চাওয়া হয়নি। মারধরেরও ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, আশরাফুল তাঁর অনুগামী নন, উনি সাধারণ গ্রামবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy