Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
উপচে পড়ছে হাসপাতাল, ডেঙ্গি নিয়ে ক্ষোভ হাবড়ায়

অবশেষে টনক নড়ল মন্ত্রীর

এ বার হাবড়া ১ ও ২ ব্লক এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গি মোকাবিলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে রীতিমতো ভর্ৎসনা শোনা গেল মন্ত্রীর মুখে। 

অস্বাস্থ্যকর: রেল কলোনি এলাকায় জমে আছে নোংরা জল। ছবি: সুজিত দুয়ারি

অস্বাস্থ্যকর: রেল কলোনি এলাকায় জমে আছে নোংরা জল। ছবি: সুজিত দুয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৮
Share: Save:

হাবড়া পুর এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। হাবড়া ১ ও ২ ব্লক এলাকার বহু মানুষও আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই মানুষ মারাও গিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, গ্রামে গ্রামে বন জঙ্গল সাফাই, জমা জল সাফ, নিকাশি নালা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। মশা মারার তেল স্প্রে করার কাজেও গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এখনও সে ভাবে মশা মারার কাজ শুরু করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠছে নানা প্রান্ত থেকে।

এ বার হাবড়া ১ ও ২ ব্লক এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গি মোকাবিলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে রীতিমতো ভর্ৎসনা শোনা গেল মন্ত্রীর মুখে।

বুধবার দুপুরে হাবড়ার কলতান অডিটোরিয়ামে দু’টি ব্লকের সব ক’টি পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন জ্যোতিপ্রিয়। উপস্থিত ছিলেন দুই বিডিও, এবং বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস। গ্রামীণ এলাকায় জ্বর ডেঙ্গি মোকাবিলা কী ভাবে করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে মন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, কোনও জনপ্রতিনিধিকে বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না। নিজেদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। মন্ত্রী সকলকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘‘পনেরো দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকেই নিতে হবে।’’ কেউ কাজ না করলে পরবর্তী ভোটে তাঁরা দলীয় টিকিট পাবেন কিনা, সেটা নিয়েও দল ভাববে বলে মন্তব্য করেন জ্যোতিপ্রিয়। প্রধানদের উদ্দেশ্যে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘জ্বর-ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে না পারলে পদত্যাগ করুন।’’ মন্ত্রী পরে বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁদেরকেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। মশা মারার কাজ জোরকদমে করতে হবে। কর্মী লাগলে আমরা দেব। কিন্তু কোনও অবস্থায় বাড়িতে বসে থাকা যাবে না।’’ জ্যোতিপ্রিয় জানান, প্রতিটি পঞ্চায়েতকে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

এ দিন বৈঠকের কথা শুনে বহু এলাকায় মানুষের ক্ষোভ, আগে যদি এমন তৎপরতা দেখা যেত, তা হলে জ্বর-ডেঙ্গি এ ভাবে ছড়িয়ে পড়তই না!

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Habra Jyotipriyo Mullick
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy