ঘোজাডাঙার বাংলাদেশিদের একটি দল। নিজস্ব চিত্র
পেট্রাপোলে আগেই শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তেও স্বাস্থ্য শিবির শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানানো হয়েছে, কারও জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ আছে কিনা, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মেলেনি। তবে পুলিশ ও প্রশাসনর সূত্রের খবর, সন্দেহজনক মনে হওয়ায় গত দু’দিনে বাংলাদেশ থেকে আসা ৪ জন অস্ট্রেলিয়ান ও একজন ইতালিয়কে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিবাসন দফতরে সমস্ত রকম সরঞ্জাম রেখে শিবির করে বিদেশিদের প্রাথমিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোলাপোতার বাসিন্দা চিন ফেরত এক ছাত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি।’’ ঘোজাডাঙা অভিবাসন দফতরের সুপার নিতাইলাল মণ্ডল বলেন, ‘‘মূলত করোনার মতো মারাত্মক জীবাণুর হাত থেকে রক্ষার জন্যই এই শিবির।’’
বাংলাদেশ থেকে আসা অনেককেই মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেল। মুখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্য শিবিরের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন মহিলা। জানালেন, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে ভারতে এসেছেন টিভি শো-এ ডাক পেয়ে। করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে প্রাথমিক সতর্কতা হিসাবে মুখে মাস্ক পরেছেন।
তৎপরতা
• এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে শিবিরে।
• করোনাভাইরাস মেলেনি।
• গত দু’দিনে বাংলাদেশ থেকে আসা ৪ জন অস্ট্রেলিয়ান ও একজন ইতালিয়কে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে।
দলের সদস্য শামিমা পারভিন রত্না বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এতটাই আতঙ্কিত, অনেকেই মুখে মাস্ক পরতে
শুরু করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy