Advertisement
E-Paper

নৃত্যশিল্পী কিশোরীর অপমৃত্যুতে আটক দুই যুবক

পুলিশ জানিয়েছে, বছর সতেরোর কিশোরীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা এলাকার।

ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা এলাকার। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১৪
Share
Save

কিশোরী এক নৃত্যশিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুই যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিয়োগে আটক করা হল। ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, বছর সতেরোর কিশোরীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তাকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলে তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্য জনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাবা নিজের মুদিখানায় ছিলেন। মা গিয়েছিলেন কালীপুজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে।

বাবা বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এক যুবক আমাকে ফোনে জানায়, মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। আমি দ্রুত বাড়ি ফিরে দেখি, মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলে আছে।’’ বাবার প্রশ্ন, ‘‘ওই যুবক কী ভাবে জানল, আমার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে?’’ তিন অভিযুক্তের মধ্যে এই যুবকের নামও পুলিশকে জানিয়েছে
পরিবারটি।

কিশোরীর পরিবারের দাবি, এলাকার কয়েক জন যুবকের সঙ্গে মেয়ের পরিচয় ছিল। তাদের ‘দাদা’ বলে ডাকত ওই কিশোরী। পরে বুঝতে পারে, ওই ছেলেদের ‘উদ্দেশ্য ভাল নয়।’ তখন সরে আসতে চেয়েছিল। পরিবারের দাবি, ওই যুবকেরা মেয়েকে অন্য বান্ধবীদের সঙ্গে মিশতে দিত না। মঙ্গলবার মেয়ে মেলায় গিয়েছিল। অভিযোগ, ফেরার সময়ে অভিযুক্তেরা বাড়ির আশপাশে ছিল। তারা মেয়েকে হুমকি দেয়, নোংরা কথাবার্তা বলে। মেয়ে ঘরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।

কিশোরীর মায়ের কথায়, ‘‘মেয়ে নাচ নিয়েই থাকত। টিভি চ্যানেলে জনপ্রিয় নাচের প্রতিযোগিতায় পারফর্ম করেছে। নাচ শেখাত। কিন্তু ওই যুবকেরা ওকে কোনও ভাবে ব্ল্যাকমেল করে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল।’’

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় ১০-১৫ জন যুবকের একটি দল আছে। তারা মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল করে। আগেও একই ভাবে এক কিশোরী মারা গিয়েছিল।

মৃত কিশোরীর স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে স্কুলের উৎসবে নাচ করেছে, স্কুলের নাচের দলকে কার্যত নির্দেশনা দিয়েছে। নৃত্যশিল্পী হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল।

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সুস্থ সংস্কৃতির সঙ্গে্ থাকা মেয়েও এমন খারাপ লোকের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে! পুলিশের উচিত, ওই চক্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gaighata Suicide

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}