বাঘাযতীনে হেলে পড়া চারতলা সেই ফ্ল্যাটবাড়ি। —ফাইল চিত্র।
বাঘাযতীনকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত প্রোমোটারকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির রিসর্ট থেকে বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ির একাংশ ভেঙে হেলে পড়ার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রোমোটার পলাতক ছিলেন। ঘটনার দু’দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে মঙ্গলবার দুপুরে একটি চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ে। বিপজ্জনক ভাবে এখনও সেই বাড়িটি হেলে রয়েছে এক দিকে। ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো থেকে দেখা যায়, বাড়িটির একতলার কিছু অংশ আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তার ফলে সম্পূর্ণ বাড়িটিই হেলে যায়। ওই বাড়িতে সে সময়ে কোনও বাসিন্দা ছিলেন না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুতলের এক দিক নিচু ছিল। তা উঁচু করার কাজ শুরু হয়েছিল মাসখানেক আগে। সেই কারণে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছিল।
অভিযোগ, কোনও পরিকল্পনা (প্ল্যানিং) ছাড়াই তৈরি করা হয়েছিল ওই বহুতল। তিন তলার অনুমতি থাকলেও বেআইনি ভাবে সেখানে চারতলা তোলা হয়। মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়িটি পুরো ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত প্রোমোটারকে ঘটনার পর থেকেই খুঁজছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের একটি দল যায় বকখালি। সেখানকার ‘আপনজন’ রিসর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
বাঘাযতীনের ঘটনায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনি বহুতলটি ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আশপাশের বাসিন্দাদের যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। বুধবার এই ঘটনার দায় ফিরহাদ চাপান পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের উপর। বলেন, ‘‘বাম আমলের পাপ বহন করছি আমরা। সেই সময়ে কলকাতার কলোনি এলাকায় কোনও বাড়ির প্ল্যানিং থাকত না। বেআইনি ভাবে সব বাড়ি তৈরি করা হত। আমরা তো এখন আর মানুষকে ঘরছাড়া করতে পারি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy