কুলপিতে বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ। —নিজস্ব চিত্র।
পিচ রাস্তার ধার ঘেঁষে চলছে পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজ। ফলে রাস্তার পাশের গর্তের মাটি ডাঁই করা হচ্ছে রাস্তার উপরে। বৃহস্পতিবারের অকাল বৃষ্টির জলে মাটি গলে গিয়ে সারা রাস্তায় কাদায় ভরে গিয়েছে। কুলপি ব্লকের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের করঞ্জলি মোড় থেকে পদ্মপুকুর পর্যন্ত রাস্তাটি কাদায় লেপে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করঞ্জলি পঞ্চায়েতে করঞ্জলি মোড় থেকে পিচ ও ঢালাই রাস্তাটি চলে গিয়েছে ঢোলাহাট পর্যন্ত। প্রায় ৭ কিলোমিটার ওই রাস্তার মধ্যে করঞ্জলি বাস মোড় থেকে পদ্মপুকুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তায় কয়েক মাস আগে থেকে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। ওই রাস্তাটি ৬-৭ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় পিচ রাস্তা করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গিয়েছিল। আবার ইদানীং পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ির পরে রাস্তাটির চেহারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছে।
ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন ঢোলাহাট, কেওড়াতলা, করঞ্জলি রামকৃষ্ণপুর ও বেলপুকুর পঞ্চায়েত-সহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের নিত্য প্রয়োজনে ওই রাস্তা দিয়ে কুলপি ও ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক স্কুল। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ওই কাদামাখা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়ছে। তাদের সাইকেলের চাকা আটকে যাচ্ছে। সাইকেল হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্তমানে রাস্তার যা অবস্থা হেঁটে চলাচল করতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাচ্ছে। সাইকেল বা অন্য গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এই মুহূর্তে কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এলাকাবাসী পঙ্কজ প্রামাণিকের অভিযোগ, “দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা ছিল। অনেক আবেদন-নিবেদনের পরে সংস্কার হয়েছিল। ফের জলের পাইপ বসানোর কাজ করে রাস্তাটি সম্পূর্ণ বেহাল হয়ে পড়েছে। এই কাদা শুকোতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যাবে। পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসন সবাই বিষয়টি জানে। কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে করঞ্জলি পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ বৈরাগী বলেন, “জেলা পরিষদের ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র হয়ে গিয়েছে। পাইপ বসানোর কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি হওয়ায় রাস্তাটি সারানোর কাজ শুরু হয়নি।” বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, “ওই রাস্তার বিষয়ে জানি। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। পাইপলাইনের কাজ শেষ হলে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy