শিরোপা: পুরস্কৃত হচ্ছেন কাবেরী। নিজস্ব চিত্র
প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল মেধা ও সৌন্দর্য। চূড়ান্ত পর্বে প্রশ্ন ছিল, ভবিষ্যতে কি হতে চান? সেই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ অফিসার হয়ে সমাজে মহিলাদের উপরে ঘটে চলা অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিকার করতে চাওয়ার ইচ্ছাটাই অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাঁর তফাত গড়ে দিল। সৌন্দর্যে তো বটেই, মেধাতেও চূড়ান্ত পর্বের বাকি তিন প্রতিযোগীকে হারিয়ে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নিয়ে ‘শ্রীময়ী সিন্দ্রাণী’ হলেন চরমণ্ডল নলডুগারির কাবেরী বিশ্বাস।
রবিবার বাগদার হরিনগর বাওরের ধার পল্লি যুবসঙ্ঘের পরিচালনায় মহিলাদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সিন্দ্রাণী অঞ্চলের ষোল থেকে বত্রিশ বছর বয়সের অবিবাহিত মহিলাদের নিয়ে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।
দু’মাস ধরে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে মোট ৪২ জন প্রতিযোগীর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন মাত্র চার জন। এই পর্যায়ে সৌন্দর্য সচেতনতা, র্যাম্পে হাঁটা, মঞ্চে উঠে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা প্রদর্শন করার পাশাপাশি ছিল দশটি সামাজিক সমস্যামূলক প্রশ্ন। যেমন, আপনি নরাষ্ট্রপতি হলে কী করবেন? সমাজে লিঙ্গবৈষম্য বা সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে কী পদক্ষেপ করা উচিত?
অন্যদের পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হন কাবেরী। বাকি তিন রানার্স আপ কেয়া ঘোষ, দীপ্তি বিশ্বাস ও মৌমিতা বালা। কাবেরী বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে গত বছর ভূগোলে সান্মানিক স্নাতক হয়েছেন। এখন সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ভাবতেই পারিনি এত প্রতিযোগীর মধ্যে জিততে পারব। আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেল।’’
চূড়ান্ত পর্বের বিচারকদের মধ্যে ছিলেন বনগাঁর এসডিপিও অনিলকুমার রায়। চ্যাম্পিয়নের মাথায় সেরা সুন্দরীর মুকুট তুলে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সমাজের বিভিন্ন স্তরে মহিলারা এখন এগিয়ে এসেছেন। এই ধরনের প্রতিযোগিতা তাঁদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার বিষয়ে প্রতিযোগীদের সুচিন্তিত মতামত প্রশংসনীয়।’’
আয়োজক সংস্থার সম্পাদক বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমরা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করলাম। মহিলারা উৎসাহিত হচ্ছেন দেখে ভাল লাগছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিযোগীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy