Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

সঞ্জুকে ‘ভাই’ বলে পরিচয় দিত অঞ্জু

তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, অঞ্জুর জীবনে এর আগেও অন্য পুরুষের প্রবেশ ঘটেছে। সে বারও টের পেয়েছিলেন বাবুল। সম্ভবত সে কারণেই সঞ্জুকে ‘ভাই’ বলে পরিচয় দিয়ে আগেভাগে সতর্ক থাকতে চেয়েছিল অঞ্জু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বীজপুর শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫৯
Share: Save:

পাড়া-পড়শিরা জানত, ‘পাতানো ভাই’। লোকের সামনে ‘দিদি দিদি’ করেই অঞ্জুর সঙ্গে কথা বলত সঞ্জু। ঘরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাদের দেখে ফেলেছিলেন অঞ্জুর স্বামী বাবুল। অঞ্জু তাকে বুঝিয়েছিল, ‘‘উল্টো-পাল্টা ভেবো না। ও তো আমার ভাইয়ের মতোই।’’ পাড়ার লোকের সামনেও সঞ্জুকে ‘ভাই’ বলেই ডাকত অঞ্জু। কখনও সখনও কপট বকাবকিও করত।

বাবুল খুনের তদন্তে নেমে সঞ্জু-অঞ্জুকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যে ভাবে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কের আড়ালে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তুলেছিল অঞ্জু-সঞ্জুরা, তাতে বিস্মিত তদন্তকারীরা। এক অফিসারের কথায়, ‘‘এ নিয়ে ওদের কোনও কুণ্ঠা ছিল বলেও মনে হয় না।’’

তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, অঞ্জুর জীবনে এর আগেও অন্য পুরুষের প্রবেশ ঘটেছে। সে বারও টের পেয়েছিলেন বাবুল। সম্ভবত সে কারণেই সঞ্জুকে ‘ভাই’ বলে পরিচয় দিয়ে আগেভাগে সতর্ক থাকতে চেয়েছিল অঞ্জু।

বাবুলকে সরানোর ভাবনা তাঁর স্ত্রীর বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। স্বামীর উপরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওই তরুণী সঞ্জুর সঙ্গে নতুন সংসার পাতবে ভেবেছিল। সদ্য তরুণ ছেলেটিও সেই প্রলোভনে জড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে বাবুলকে নিকেশ করা যায়, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় দু’জনের।

অপরাধের হাতেখড়ি এর আগে হয়নি সঞ্জুর। শুরুতেই মানুষ খুন খুব সহজও ছিল না। তাই সে নিজেও ঘটনার রাতে আকণ্ঠ মদ্যপান করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে। প্রথমবার বাবুলের গলায় ছুরি চালিয়ে নেশার ঘোরে ঠাহর করতে পারেনি, দেহে প্রাণ আছে কিনা। তাই আরও কয়েকবার ছুরি দিয়ে গলায় কোপ মারে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

পুলিশ জানিয়েছে, নেশার ঘোর কাটতেই শান্ত এবং চুপচাপ স্বভাবের ছেলেটি বুঝতে পারে, ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে তারাপীঠে পুজো দিয়ে মানসিক ভাবে

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE