প্রতিক্ষালয় দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাস্তার ধারের যাত্রী প্রতীক্ষালয়েই দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বারাসত ২ ব্লকের দাদপুরে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় কাচ দিয়ে ঘিরে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসিয়ে দলীয় বৈঠক সহ বিভিন্ন কাজকর্ম শুরু করা হয় বলে অভিযোগ। দলের পতাকাও লাগানো হয়। খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে বৃহস্পতিবার যাত্রী প্রতীক্ষালয়টিকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বারাসতের কদম্বগাছি থেকে খড়িবাড়ি যাওয়ার রাস্তায় দাদপুরে কয়েক বছর আগে সরকারি অর্থে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। অভিযোগ, কিছু দিন আগে বারাসত ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসের আলি মল্লিক প্রতীক্ষালয়টি দখল করেন। এই ঘটনায় সরব হন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এমদাদুল হক বলেন, “গ্রাম কমিটির সম্মতিতে পঞ্চায়েত সমিতির অর্থে তৈরি হয়েছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। আসের আলি সেই প্রতীক্ষালায় দখল করে দরজা জানালা লাগিয়ে, কাচ দিয়ে ঘিরে এসি বসান। টাঙানো হয় দলীয় পতাকাও। কার্যালয়ে বসেই রাজনৈতিক কর্মসূচিও চলে।”
বিরোধীদের অভিযোগ, ‘প্রভাবশালী’ আসের আলির বিরোধিতা করার সাহস নেই কারও। বিজেপি নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ, প্রশাসনের লোকজন তো ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ওদের চোখে পড়ে না? নাকি সব জেনে শুনে ইচ্ছে করে দেখেনা?”
সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান বলেন, “পুলিশ যেখানে ভয়ে কিছু বলতে পারছে না, সেখানে গ্রামের মানুষ ও বিরোধী দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের বলার সাহস থাকে?”
বারাসত ২ ব্লকের বিডিও শেখর সাঁইকে এ দিন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। এরপর তড়িঘড়ি ব্লক প্রশাসনের সদস্য ও পুলিশ পাঠিয়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি দখল মুক্তও করা হয়।
এ ব্যাপারে আসের আলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বারাসত ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন, “সরকারি জমি বা যাত্রী প্রতীক্ষালয় দখল করে দলের কার্যালয় করা যায় না। দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy