—প্রতীকী ছবি
হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতিতে মাতৃগর্ভেই শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠল। পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।
হাবড়ার হিজলপুকুরের বাসিন্দা প্রশান্ত দত্তের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। প্রশান্তের দাবি, হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাসকে প্রাইভেট চেম্বারে দেখানো হচ্ছিল। ১২ এপ্রিল স্ত্রীর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। তাঁরা সুপারকে ফোন করে জানান। তাঁর কথা মতোই স্ত্রীকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আলট্রাসনোগ্রাফ্রি করে দেখা যায়, মাতৃগর্ভেই শিশুটি মারা গিয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে মহিলাকে ভর্তি করার পরে এক বারও সুপার দেখতে আসেননি। ১২ এপ্রিল মহিলার সন্তানের মৃত্যুর পর থেকে পরিবারের লোকজন সুপারকে ফোন করে গেলেও তিনি ফোন ধরেননি। সোমবার ফোন ধরে জানান, তিনি অসুস্থ। কিন্তু মহিলার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, হাসপাতালে না এসে সুপার হাবড়া পুরসভা সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে রোগী দেখছেন।
পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে গিয়ে দেখেন, সুপার সেখানে আছেন। তাঁরা সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরে সুপার হাসপাতালে এলে সেখানেও উত্তেজনা ছড়ায়। মহিলার আত্মীয়-পরিজনেরা এসে ক্ষোভ জানাতে থাকেন।
মহিলার মা শীলা দাস বলেন, ‘‘আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সুপারের শাস্তি চাই। ওঁর লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হোক। দু’টি হাসপাতালের সুপার হয়ে বাইরে কী করে রোগী দেখেন উনি? সেই সময় কোথায় পান!’’
গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার বলেন, ‘‘শিশুটির মায়ের হাই সুগার ছিল। সেটা কমানো যায়নি। অনিয়ন্ত্রিত সুগার থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে যাবতীয় চিকিৎসা করা হয়েছে। তারপরেও শিশুর মৃত্যু হওয়াটা দুভার্গ্যজনক। তবে হাসপাতালে ভর্তি প্রতিটি রোগীকে সুপার নিজে গিয়ে দেখবেন, এটা তো সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা রয়েছেন।’’
হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা আমরা শুনেছি। উনি হাবড়া এবং অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। তারপরেও কী ভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার সময় পান, তা আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy