অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে ‘বক্স ওপেন এসি।’ এসির গুদাম ভরে আছে মালপত্রে। নিজস্ব চিত্র ।
ভরদুপুরে পিচ রাস্তায় মরীচিকা দেখা যাচ্ছে প্রতি দিন। ঘরের ভিতর যেন চুল্লি! উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলি-সহ গ্রামাঞ্চলেও এসি বসানোর প্রবণতা কয়েক গুণ বেড়েছে এ বারের দহন দিনের সৌজন্যে।
এসি এখন আম জনতার হাতের মুঠোয়। অনলাইনে বিভিন্ন অফার তো আছেই, তার সঙ্গে গঙ্গাপাড়ের তিন জেলা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বহু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকানে অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে এসি, এয়ার কুলার। ব্যারাকপুরের একটি গুদামে ‘বক্স ওপেন এসি’ মিলছে অর্ধেক দামে। সেখানকার কর্মীরা জানালেন, গত এক মাসে সাড়ে সাত হাজারের বেশি এসি বিক্রি হয়েছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একটি বড় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বিপণির মালিক প্রবীর তালুকদারের কথায়, ‘‘গত দু’সপ্তাহে এসি ও কুলারের খোঁজে আসা ক্রেতার সংখ্যা বেশি। একটা সময়ে ফ্যান কেনার হিড়িক পড়ত গরম এলে ।এখন তেমন এসি বিক্রি বাড়ে। রাস্তায় বেরোলে বোঝা যায়, তাপপ্রবাহ চলছে। ঘরও গরম হয়ে থাকছে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত। এসি আমরা জোগান দিয়ে উঠতে পারছি না।’’
এসি’র চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। উত্তর হোক বা দক্ষিণ— মাঝে মধ্যেই অল্প সময়ের লোডশেডিং যেমন হচ্ছে, তেমনই কখনও কখনও মাঝরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থেকে হাঁসফাঁস করছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশ, বসিরহাট, বনগাঁর কিছু এলাকার সঙ্গে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও আচমকাই কখনও কখনও লোডশেডিং বা লো ভোল্টেজের সমস্যা চলছে। দিন দু’য়েক আগে ব্যারাকপুরের বাবনপুর এলাকায় ভরদুপুরে একটি ট্রান্সফর্মার পুড়ে যায়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা।
তড়িঘড়ি ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করলেও লোডশেডিংয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকদের চোখ কপালে উঠেছে। বিদ্যুৎ দফতর জানেই না, এক একটি সাবস্টেশনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় কতগুলি এসি চলছে। এক সঙ্গে যদি অধিকাংশ এসি চলতে থাকে, তবে সেই এলাকার ট্রান্সফর্মারের আদৌ ততটা লোড নেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না!
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এসি বসালে তা বিদ্যুৎ দফতরে এক বার জানিয়ে ফর্ম ফিল আপ করতে হয়। বাড়তি ফি নেওয়া হয়। ইদানীং এসি বসানোর ক্ষেত্রে দফতরকে জানানোর সংখ্যা কমেছে। এ দিকে, সামনে ভোট। বহু ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করায় অসুবিধা হচ্ছে। তবুও এই পরিস্থিতিতে এসির অবৈধ সংযোগ ধরার জন্য বিশেষ নজরদারি টিম তৈরি হয়েছে। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy