ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে বেশ কিছু এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলাশাসক পি উলগানাথন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দ্রুত কন্টেনমেন্ট জ়োনের বিধিনিষেধ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে জেলায় করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। জেলা জুড়েই সরকারি বিধি-নিষেধ বেশ কিছুটা শিথিল করা হয়। আগের মতোই দোকান-বাজারে, ট্রেনে-বাসে ভিড় হচ্ছিল। মানুষজনও ক্রমশ গা-ছাড়া মনোভাব দেখাতে শুরু করেছিলেন। পুজোর সময়ে বিভিন্ন মণ্ডপে উপচে পড়ে ভিড়। মাস্ক বা শারীরিক দূরত্ববিধির বালাই ছিল না কোথাও। এই ভয়টাই পাচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। পুজো শেষ হতেই নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে। দিন কয়েক আগেও জেলায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল পঞ্চাশের নীচে। এখন সেই সংখ্যাটাই আশি ছুঁই ছুঁই। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ছ’শোর কাছাকাছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং ১ ও ২, জয়নগর ২, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার-সহ ৯টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা এবং মহেশতলা, রাজপুর-সোনারপুর এবং ডায়মন্ড হারবার পুরসভার কিছু এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৪২টি জায়গাকে চিহ্নিত করে নতুন করে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। পুজোর পর থেকে ওই সমস্ত ব্লক ও পুর এলাকায় করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
টিকাকরণেও জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫,২৭,৫৮৮। এখনও পর্যন্ত ৪৪,১৮,৭৫১ জনের প্রথম ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৬,১৮,৬৮১ জনকে। শনিবার জেলায় ১,০৮,৪৬৯ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা কিছু এলাকা চিহ্নিত করে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছি। পরিস্থিতির মোকাবিলায় টিকাকরণ এবং করোনা পরীক্ষার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy