স্কুলের মধ্যে ঢুকে সিপিএম সমর্থক এক করণিককে টেনে বের করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম কেষ্ট মাইতিকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ছাত্রছাত্রীরা কাকদ্বীপ-গঙ্গাধরপুর স্কুলমোড়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ এসে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল কাকদ্বীপের গঙ্গাধরপুর কমলাকান্ত হাইস্কুলে করণিক পদে যোগ দেন কেষ্টবাবু। গত ৩ জুন দুপুরে এক দল যুবক স্কুলে ঢুকে তাঁকে হুমকি দেয়। বলে, কেষ্টবাবু যেন আর স্কুলে না আসেন। ঘটনার কথা প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদককে জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ৫-৬ জন যুবক স্কুলের ভিতর ঢুকে কেষ্টবাবুকে টেনে-হিঁচড়ে বের স্কুলের বাইরে বের করে। কিল-চড় মারতে থাকে তারা। ছাত্রছাত্রীরা ছুটে এলে পালায় হামলাকারীরা। কেষ্টবাবু বলেন, “কাকদ্বীপ কলেজের প্রাক্তন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এর আগেও ওরা হুমকি দেওয়ায় পর স্কুল কতপর্ক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে। সে জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হইনি।” প্রধান শিক্ষক সতেন্দ্রনাথ সামন্তের কথায়, “আমরা বহু অনুরোধ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও কেষ্টবাবুকে টেনে বের করে নিয়ে মারধর করল ওরা। ছাত্রছাত্রীরা ভয় পেয়েছিল।”
ঘটনার পরে এ দিন পঠন পাঠন বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বাপ্পা গুহের দাবি, “আমি ওই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। সে সময়ে আমি কলকাতায় ছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy