এগারো দিন আগে নিখোঁজ বিশ্বজিত্ মণ্ডল নামে হাওড়ার এক ইটভাটা শ্রমিককে শুক্রবার রাতে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলির খেয়াঘাট থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাঁকে অপহরণে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হাওড়ারই শ্যামপুরের একটি ইটভাটার মালিক দিলীপ মণ্ডল এবং শেখ হাসেম কাজি ও শেখ রেজ্জাক নামে তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই যুবককে। তবে, আর এক অভিযুক্ত ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহের দায়িত্বে থাকা শেখ সফিকুলকে পুলিশ ধরতে পারেনি।
পুলিশের দাবি, দিলীপের থেকে সফিকুলের তিন লক্ষ টাকা পাওনা ছিল। তা না পাওয়ায় দিলীপের চক্রান্ত মতো তার ভাটার শ্রমিক বিশ্বজিত্কে অপহরণ করে সফিকুল। দিলীপ নিজের থেকে সেই টাকা না দিয়ে বিশ্বজিতের পরিবারের থেকে নিয়ে সফিকুলের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার মতলবে ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে দিলীপ সে কথা কবুলও করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের বাড়ি শ্যামপুরের কোলিয়া গ্রামে। তিনি দিলীপের ইটভাটায় কাজ করতেন। ভাটায় শ্রমিক প্রয়োজন জানিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর সফিকুল বিশ্বজিত্কে নিয়ে বসিরহাটে যায় বলে অভিযোগ। তার পর থেকে বিশ্বজিত্ আর ফেরেননি। ওই রাতেই বিশ্বজিতের পরিবারের কাছে ফোন করে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। সেই ফোন যায় দিলীপের কাছেও। পরে বিশ্বজিত্ পরিবারের লোকজনকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলে। কথামতো সেই টাকা নিয়ে বিশ্বজিতের দাদা অভিজিত্, দিদি কাকলি দাস এবং দিলীপ ১৪ অক্টোবর ধুলাগড়ে শেখ হাসেম কাজির হাতে তুলে দেয়। কিন্তু সেখানে বিশ্বজিত্কে দেখতে না পেয়ে অভিজিত্-কাকলির সন্দেহ হয়। তাঁরা হাসেমকে নিয়ে উলুবেড়িয়া থানায় আসেন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হাসেমকে জেরা করেই চক্রান্তের ছক পরিষ্কার হয় বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের শনিবার উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তিন জনকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy