পোষ্য নুগ্গি। —ছবি: সংগৃহীত।
দিনে ১০ টুকরো মাংস। সঙ্গে একগাদা বিস্কুট। ভালবাসেন বলে সারা দিন ধরে পোষ্য কুকুরকে খাইয়ে যেতেন তরুণী। কিন্তু অতিরিক্ত ভালবাসাই মৃত্যু ডেকে নিয়ে এল তাঁর প্রিয় পোষ্য নুগ্গির জীবনে। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার কারণে অস্বাভাবিক হারে ওজন বেড়ে গিয়েছিল নুগ্গির। সে কারণে নানা রকম শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় তার। অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তার।
নিউ জ়িল্যান্ডের অকল্যান্ডে পোষ্য নুগ্গিকে নিয়ে থাকতেন তরুণী। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে নুগ্গি। ২০২১ সালে সেখানকার অ্যানিম্যাল কন্ট্রোল অফিসারেরা তরুণীর বাড়িতে গিয়ে নুগ্গির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেছিলেন। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার কারণে নুগ্গির শরীরে এত পরিমাণ ফ্যাট জমেছিল যে, স্টেথোস্কোপ কানে লাগালেও নুগ্গির কোনও হৃৎস্পন্দন শুনতে পাননি অফিসারেরা। এমনকি কয়েক সেকেন্ড দৌড়নোর পরেও হাঁপিয়ে উঠছিল সে। শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কারণে মারা যায় সে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যকৃতে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে মারা যায় নুগ্গি। পোষ্যকে মারার অভিযোগে দু’মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। পাশাপাশি এক লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় মানুকাও আদালত। আগামী এক বছর তরুণী কোনও প্রাণীকে পোষ মানাতে পারবেন না এমন নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy