সমুদ্র যেমন সুন্দর তেমনই ভয়ঙ্কর। আর এই সমুদ্র যদি অশান্ত হয়ে পড়ে, তখন তাকে শান্ত করে কার সাধ্যি! সেই সমুদ্রে প্রতি দিন নানাবিধ ঢেউ ওঠে। সেই সব ঢেউয়ের নামও বিভিন্ন। কিন্তু কেউ কি কখনও ‘স্কোয়্যার ওয়েভ’ বা বর্গাকার ঢেউয়ের কথা শুনেছেন বা জানেন? এ বার সমুদ্রের বুকে সেই ঢেউয়ের দেখা মিলল। একে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ঢেউয়ের তকমা দিচ্ছেন অনেকে। সেই ঢেউয়ের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের বুক চিরে এগিয়ে যাচ্ছে একটি ছোট জাহাজ। সেই জাহাজের আশপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জু়ড়ে বর্গাকার ঢেউ দেখা যাচ্ছে। যেন সমুদ্রের বুকে জ্যামিতিবক্স নিয়ে কেউ নকশা কেটে দিয়েছে। জাহাজের এক যাত্রী পুরো বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রসঙ্গত, বর্গাকার ঢেউ ‘ক্রস-সি’ বা ‘গ্রিড ওয়েভ’ নামেও পরিচিত। সেগুলিকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ ঢেউ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, ওই ঢেউগুলি প্রায়শই শক্তিশালী ‘রিপ’ জোয়ার (রিপ জোয়ার হল জলের একটি শক্তিশালী স্রোত যা উপকূল থেকে দূরে সরে যায়। এটি খাঁড়ি, পোতাশ্রয় এবং মোহনায় ঘটতে পারে। রিপ জোয়ার সাঁতারুদের জন্য বিপজ্জনক) তৈরি করে, যা যখন তখন সমুদ্রকে অশান্ত করে তুলতে পারে। আর সে কারণেই ভিডিয়োটি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
ভিডিয়োটি ‘অ্যামেজিং নেচার’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ২ মার্চ পোস্ট করা ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ৭০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। পোস্টটি শেয়ার করার মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োটি দেখার পর নেটাগরিকদের একাংশ যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনি অনেকে আবার ভিডিয়োটি কৃত্রিম মেধা বা ‘এআই’-এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি তুলেছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আপনি যদি বর্গাকার ঢেউ দেখতে পান তা হলে জল থেকে বেরিয়ে আসুন। এগুলি বিপজ্জনক এবং শক্তিশালী।’’