প্রথম দেখা হয়েছিল শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বৈঠকে। সহপাঠীর মাকে দেখেই প্রেমে ভেসে গিয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু তিনি যে তরুণের অভিভাবিকার বয়সি। তাই মনে ষোলো আনা ইচ্ছা থাকলেও পিছিয়ে যান তিনি। তার পর বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। স্কুলের গণ্ডি পার করে হেঁটে গিয়েছেন বহু দূর। তবে হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে স্বপ্নের নারীর ছবিটি মুছে যায়নি। তাঁর সঙ্গে পথ চলা মনে হয় ভাগ্যেই ছিল তরুণের। তাই বহু বছর পর আবার প্রাক্তন সহপাঠীর মায়ের সঙ্গে দেখা হল তাঁর। মনের কথা জানালেন তরুণ। করলেন বিয়েও।
‘শিনকোন-সান ইরাশাই’ নামে জাপানে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয় দম্পতিদের। তাঁরা তাঁদের প্রেমকাহিনি শোনান সেই অনুষ্ঠানে। সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিজ়ুয়োকার এক দম্পতি। ২০২৩ সালে আইনি বিয়ে হয় তাঁদের। দু’জনের বয়সের পার্থক্য ২১ বছরের। ৫৩ বছর বয়সি প্রৌঢ়াকে বিয়ে করেছেন ৩২ বছরের তরুণ।
তরুণের প্রাক্তন সহপাঠীর মা সেই প্রৌঢ়া। স্কুলের শিক্ষক-অভিভাবকদের বৈঠকে প্রথম সেই প্রৌঢ়াকে দেখেছিলেন তরুণ। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহপাঠীর মাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। স্বপ্নের নারীর ছবি হৃদয়ের ক্যানভাসে এঁকে ফেলেছিলেন তরুণ। তার পর বছরের পর বছর কেটে যায়।
তরুণের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয় তাঁর স্বপ্নের নারীর। তবে কি ‘তিনি’ই মেলালেন? সহপাঠী তত দিনে প্রাক্তন হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মা-ও তখন বিবাহবিচ্ছিন্না। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তরুণ। মনের কথা প্রৌঢ়াকে জানান তিনি। কিন্তু তরুণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। তার পর টানা এক মাস প্রৌঢ়াকে নিয়ে ডেটে যান ওই তরুণ। দু’জনের বন্ধুত্ব ক্রমশ গাঢ় হয়।
প্রৌঢ়া জানান যে, তাঁর আলোকসজ্জা দেখতে খুব ভাল লাগে। তরুণও তাঁর স্বপ্নের নারীর ইচ্ছাপূরণ করলেন। ৪০টি এমন জায়গায় ঘোরাতে নিয়ে গেলেন যেখানে দুর্দান্ত আলোকসজ্জা হয়। তরুণের সঙ্গে সময় কাটানোর পর মন গলে প্রৌঢ়ার। কিন্তু তাঁর সন্তান আপত্তি জানাতে পারেন, সমাজ কী বলবে এ সব ভেবে আবার তরুণের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। তরুণের প্রাক্তন সহপাঠী তখন তাঁর মাকে লিখে জানান, ‘‘তোমাদের সম্পর্কে আমি কোনও রকম বাধা হয়ে দাঁড়াব না। আমায় নিয়ে চিন্তা কোরো না। তুমি তোমার ভাল থাকার কথা চিন্তা করো, মা।’’ সন্তান সম্মতি দিলেও প্রৌঢ়ার পরিবার এই সম্পর্কের বিরোধিতা করে। প্রৌঢ়ার পরিবারের সম্মতি আদায় করতে তরুণ প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে একটি বাড়ি কেনেন। তা দেখে প্রৌঢ়ার পরিবার সম্মতি না জানিয়ে পারেন না। ২০২৩ সালে দুই পরিবারের মতে স্বপ্নের নারীকে বিয়ে করে ফেলেন তরুণ।