দাবি অনুযায়ী বাপের বাড়ি থেকে পণের টাকা এনে না দেওয়ায় অত্যাচার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল বধূকে। অভিযোগ, পাঁচ লক্ষ টাকা পণ দাবি করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়েরা। সেই পণ না দিতে না পারায় তরুণীকে বাড়ি থেকে বার করে দিলেন তাঁরা। যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তরুণীকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বার করে দিতে দেখা গিয়েছে এক প্রৌঢ়কে। জোর করে ওই তরুণীকে তাঁর বাপের বাড়ি ফেরত পাঠানোরও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ‘রামবচন’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জালালপুরে। অত্যাচারিত তরুণীর নাম রঞ্জনা যাদব। অম্বেডকর নগর এলাকার রমেশ কুমার যাদবের সঙ্গে এক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে পুলিশে অভিযোগ করেন তরুণী।
রঞ্জনা পুলিশকে জানান, তাঁর পরিবার বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সময় যৌতুক হিসাবে ফ্রিজ, কুলার, খাট-বিছানা এবং আরও অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়েছিলেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক জন আরও যৌতুক দাবি করতে থাকেন এবং তাঁর সমস্ত গয়না তাঁর থেকে ছিনিয়ে নেন। এর পর তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার সময় পাঁচ লক্ষ টাকার দাবি জানান অভিযুক্তেরা। তরুণীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও দুই দেওর মিলে তাঁর উপর নিয়মিত অত্যাচার করতেন। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরবাড়ির লোক জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।