পুজোর জন্য প্রসাদ কিনতে না চাওয়ায় এক পরিবারের সদস্যদের নির্মম ভাবে পেটালেন দোকানি। লখনউয়ের চন্দ্রিকা দেবী মন্দিরে প্রসাদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় জিনিসপত্র কিনতে অস্বীকার করায় স্থানীয় দোকানদারেরা যথেচ্ছ ভাবে চড় এবং ঘুষি মারেন। কোমরের বেল্ট খুলেও তাঁদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সমস্ত ঘটনাটি মন্দির প্রাঙ্গণের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যম ছড়িয়ে পড়তেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুজো দিতে আসা এক পরিবারের সদস্যদের উপর দোকানদারেরা চড়াও হয়ে মারতে শুর করেন। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, লখনউয়ের আলিগঞ্জের বাসিন্দা পীযূষ শর্মা তাঁর পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। মন্দির প্রাঙ্গণে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে প্রসাদ, ফুলের মালা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন দোকানদারেরা। তাঁদের স্টল থেকে পুজোর সামগ্রী কিনতে জোর করেন বিক্রেতারা। পরিবারের সদস্যেরা এর প্রতিবাদ করায় হাতাহাতি শুরু হয়। মহিলারাও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাননি। তাঁদেরও চড় ও ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মহিলাদেরও বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয় বলে দাবি আক্রান্তদের।
মারামারি ও হামলার ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র বিকেটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে আক্রান্ত পরিবার থানায় গিয়ে অভিযুক্ত দোকানদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ‘বিবেক শর্মা’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একটি মন্দিরে এই ধরনের ঘটনা ঘটল কী ভাবে? ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।